কলকাতা: বিধানসভায় বেনজির সংঘাত, বাইরে ধর্নায় শুভেন্দু, ভিতরে আক্রমণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একই সঙ্গে এদিন বিদ্যুৎ এর দাম নিয়ে বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' এই প্রোজেক্ট হয়ে গেলে ১০০ বছর আর কোনও বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। আর শুনতে হবে না, শোডশেডিংয়ের সরকার। আর নেই দরকার। এবং বিদ্যুৎ এর দাম কমে যাবে। মনোপলি কমে যাবে।' মূলত বছর পেরোলেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। পাখির চোখ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো বটেই। সেই সঙ্গে তবে কি এবার ফোকাসে বিদ্যুতও ? তবে শুধু এই রাজ্যেই নয়, ভোটের আগে দেশের একাধিক রাজ্যে বিদ্যুতের বিল লিড করে বইকি। তা সে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য় হোক কিংবা বিজেপির। এখানেই, দাঁড়িপাল্লার অপরদিকে বসে, দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক হেভিওয়েট প্রস্তাব।
এদিন আরও একাধিক বিষয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে এদিন বিধানসভার বাইরে যখন ধর্নায় শুভেন্দু, একহাত নেন আজ মমতাও। এদিন মহাকুম্ভের বিষয়েও কথা বলতে শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। 'আমরা মহাকুম্ভকে সম্মান করি, কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়া, এত মানুষের মৃত্যু, কত সংখ্যা চেপে দিয়েছেন? কত হাজার দেহ নদীতে ভাসানো হয়েছে? বড়লোকদের জন্য লক্ষ টাকার ক্যাম্প, আর গরিবদের জন্য...একটা লাল চা ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, স্নানের জন্য আলাদা টাকা। মহাকুম্ভের পবিত্র জায়গা আপনারা দূষিত করেছেন। এত বড় একটা আয়োজন, পদপিষ্ট হতেই পারে, কিন্তু কী প্ল্যানিং ছিল?' প্রশ্ন তোলেন মমতা।
তিনি আরও বলেন,' দুর্ঘটনা যেকোনও জায়গায় হতে পারে, কিন্তু আমরা রাজনীতি করি না। এখানে এত কমিটি, এত চিঠি, মহাকুম্ভে কটা কমিশন পাঠিয়েছেন? মৃতদেহ পাঠিয়ে দিয়েছেন, কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দেননি। আমরা সব ব্যবস্থা করেছি, ডেথ সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করেছি। আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেই খালাস, ডেথ সার্টিফিকেট দেননি। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে আমরিতে একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সারা রাত জেগে সব কিছু করেছিলাম, কাজ জানতে হয়। গঙ্গাসাগর মেলায় ভিভিআইপি বলে আমরা কাউকে ছাড় দিই না। হিন্দু ধর্মের কথা যারা বলেন, আমিও গর্ব বোধ করি..', ধর্মটা বিক্রি করে খাওয়ার জায়গা নয়, তীব্র আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, শুভেন্দুর নিশানায় মমতার সরকার, 'কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের DA-র তফাৎ ৩৫%..'
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)