কলকাতা : কারা যোগ্য, আর কারা অযোগ্য ? চাকরি-বাতিল ইস্যুতে যাবতীয় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সেটাই। এই পরিস্থিতিতে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এনিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্যদের বিষয়টি তিনি আগে দেখে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু, কী করা হবে অযোগ্যদের সঙ্গে, সেকথাও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। 


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আগে আমাকে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। তারপরে আমি অন্য কথা বলব। আমি আবার ডাকব। আগে যোগ্যদেরটা হয়ে যাক। বাদবাকি যাঁরা থাকবেন, যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে আমি দেখব। সত্যিই যদি এভিডেন্ট প্রমাণিত হয়...তাঁরা অযোগ্য, তখন হয়ত আমার কিছু করার থাকবে না ওই ডিপার্টমেন্টে। কিন্তু, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব পরে। আগে ফার্স্ট ফেজ, যোগ্যদেরটা রক্ষা করা। সেকেন্ড ফেজ, কাকে অযোগ্য বলেছে, কেন বলেছে, কী কারণে বলেছে , কোন এজেন্সি তদন্ত করেছে, কী কী কাগজপত্র আছে টোটালটা দেখব। তারপরে তাঁদের নিয়ে আমি আলাদা করে মিটিং করে আমাদের কথা বলব। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। চিন্তা করবেন না। যোগ্য ও অযোগ্যের মধ্যে গন্ডগোল লাগাবেন না।"


মুখ্যমন্ত্রীর আরও বার্তা, "আমি এটাই বলব, নিশ্চিন্তভাবে আপনার বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। বাদবাকি যাঁরা আছেন তাঁদের সঙ্গেও পরে কথা বলব। তাঁদের কথা শুনব। প্রথমে আমাদের তদন্তটা করতে দিন। শুনুন, পথ যখন হারিয়ে যায়, তখন নতুন পথ একটা খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা ক্লারিফিকেশন চাইব। আইনের ধারা অনুযায়ী কাজ করব। আইন মোতাবেক কাজ করব। কারো চাকরি যাওয়াটা আমাদের ধর্ম নয়। চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া, চাকরি করে দেওয়াটা আমাদের ধর্ম। আশা করব, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমনভাবে কাজ করছেন, তেমনভাবে কাজ করবেন। তাঁদের যেন কোনও অসুবিধা না হয় । শিক্ষক না হলে আমার শিক্ষাক্ষেত্রটা ভেঙে পড়বে। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারবে না। অনেকে খাতা দেখছেন। তাঁরা খাতা দেখতে পারছেন না। "


এদিন নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠকের পাস পাওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বেঁধে যায়। কে যোগ্য, কে অযোগ্য, এই নিয়ে বাগ্‍‍বিতণ্ডা, দু’পক্ষের হাতাহাতি, ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর অভিযোগ ওটে। আজ চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা চাকরিহারারা জড়ো হন শহিদ মিনার চত্বরে। অভিযোগ, আজ ভোরে নিজেদের চাকরিহারা বলে দাবি করে কয়েকজন এসে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যাওয়ার পাস চান। দিতে না চাওয়ায় হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়।