সুমন ঘড়াই, হাওড়া : ক্লিন ইমেজ বজায় রাখতে হবে, রদবদলের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mama Banerjee)। মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, ‘পাইলট কার (Pilot Car), লাল বাতি (Red Beacon) ব্যবহার করতে পারবেন না কোনও মন্ত্রী। জেলা থেকে কোনও মন্ত্রী কলকাতায় এলেও পাইলট কার নয়’।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার পাশাপাশি কাজ কীভাবে এগোনো হবে, সে সম্পর্কেও নির্দিষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কাজের জায়গা ভাগ করে দেওয়া হবে প্রতিমন্ত্রীদের, পূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীদেরও কাজ নির্দিষ্ট করবে সরকার’। এদিকে, কিছু ফাইল এলে ভাল করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
পার্থ-অনুব্রতর গ্রেফতারির পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাঝে মন্ত্রীদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে পাইলট কার ব্যবহার, গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার বন্ধ করার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পন্থা কেউ না মেনে চললে সেই বিষয়টা রাজ্য সরকার ভাল ভাবে নেবে না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন আট জন মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৗধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিত্ বর্মন এবং তাজমুল হোসেন। তাঁদের শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন।
পাশাপাশি পরিষদীয় মন্ত্রী হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নারী শিশুকল্যাণের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন শশী পাঁজা। রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী হলেন বাবুল সুপ্রিয়। পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হলেন প্রদীপ মজুমদার। সেচ ও জলপথ মন্ত্রী হলেন পার্থ ভৌমিক। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলেন সত্যজিৎ বর্মন। বন দফতরের সঙ্গে স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
ইডির হাতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন পর তাঁকে তিন দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও করা হয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যারপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটে। মমতার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন, হুমায়ুন কবীর সৌমেন মহাপাত্র, রত্না দে নাগ এবং পরেশ অধিকারী।
আরও পড়ুন- 'অভিষেক-ঘনিষ্ঠ নন এমন লোক দলে প্রায় নেই-ই', মন্ত্রিসভায় রদবদলের মুখে বার্তা মদন মিত্রের