কোচবিহার : নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন দুর্নীতি। একের পর এক অভিযোগে তাঁর দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী আজ জেলে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা আজ জেলবন্দী। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম শোরগোল চলছে না। যার আঁচ এখনও রয়েছে। একের পর এক দুর্নীতির আভিযোগ উঠেছে, আর তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, মমতার অগোচরে কিছুই হয়নি। সবটাই তিনি জানতেন। বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাব আগেও দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এবার সুর আরও চড়িয়ে মমতা বললেন, "রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি তো বলছে, চোর। এত বড় সাহস। মিথ্যা কথা বলার জন্য জিভ খসে পড়বে, যদি আমার ধর্মের প্রতি কোনও বিশ্বাস থাকে।"
দুর্নীতি-ইস্যুতে আজ কোচবিহারের সভা থেকে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমাদের হাতে পাঁচটা আঙুল আছে। কোনওটা ছোট, কোনওটা বড়। ১০০ ভাগ লোকের মধ্যে ১ ভাগ লোক যদি খারাপ কাজ করে তার দায়িত্ব দল নেবে না, সরকারও নেবে না। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু, তার জন্য আমি যাচ্ছি রাস্তা দিয়ে বলছে, চোর। এত বড় সাহস। ডাকাতের ডাকাত। ভারতকে লুঠ করেছে। বাংলাকে লুঠ করেছে। গরিব মানুষকে প্রাণে মেরেছে । আমি কারও এক পয়সা চা খাই না। সার্কিট হাউসে থাকলে নিজের ভাড়াটা দিয়ে দিই। সরকারের কোনও মাইনে পর্যন্ত নিই না। লজ্জা করে না। মিথ্যা কথা বলার জন্য জিভ খসে পড়বে, যদি আমার ধর্মের প্রতি কোনও বিশ্বাস থাকে।"
যদিও পাল্টা বিজেপির তরফে সজল ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের ওই ১ শতাংশ লোকই হচ্ছে তৃণমূলের নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই এক শতাংশের মধ্যেই পড়েন। এতদিন চোর বলতাম। আজকে এই পুরো ব্যাপারটা শোনার পর চিটিংবাজ বলতে ইচ্ছা করছে। চোররা চুরি করে। আর চিটিংবাজরা সাধারণ মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ঠকায়। উনি যে বলছেন, উনি এক টাকাও নেন না, তাহলে সার্কিট হাউসের ভাড়াটা কোথা থেকে দেন ? কলকাতা শহরের কোন বইমেলায় ওঁর বই বিক্রি হচ্ছে ? আর কত মানুষ কিনছেন ? সুযোগ পেলে ওরা মায়ের মন্দিরটাও বিক্রি করে দেবে। "
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে