কলকাতা: ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলবে। পরিয়াযী শ্রমিকরা নথি দেবে। যাতে হিসেব থাকে। আমরা পরিবারকে দেখব। 


পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের নাম ঠিকানা নিবন্ধীকরণ করবেন। যাতে তাঁরা যেখানেই থাকুক আমাদের কাছে যেন তাঁদের ঠিকানাটা থাকে। কোনওরকম বিপদে পড়লে আমরা পরিবারকে দেখব, সাহায্য করব।


দীর্ঘদিন ধরেই এমন পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে বারবার রাজনৈতিক তরজা হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে, শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও। কোভিডের সময় থেকেই বারবার রাজনৈতিক ইস্যু হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মমতা বারবার বলেছেন, কোভিড সময়ে রাজ্য সরকারই ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়েছিল। পাশাপাশি, ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হলেও দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এ রাজ্যের বহু বাসিন্দা যাঁরা ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েও পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু নিয়ে তরজা শুরু হয়। বিরোধীদের দাবি ছিল, রাজ্যে কাজের অভাবের কারণেই বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বিপুল অংশের বাসিন্দা। উল্টোদিকে  সেই দাবি নাকচ করে বিরোধীদের নিশানা করেছিল তৃণমূল। সম্প্রতি মিজোরামে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যের একাধিক শ্রমিকের। সেই ঘটনার পরেও দেহ ফেরানো নিয়ে রাজনৈতিক তরজা দেখেছে বাংলা। এদিনও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের অনেকটা অংশে থাকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা।  এ রাজ্য থেকে যাঁরা যাঁরা বাইরের রাজ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রকৃত হিসাব যাতে রাজ্যের কাছে থাকে, তার জন্যই দুয়ারে সরকারের শিবিরে নথি নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের যেতে বললেন মমতা। নাম তালিকায় থাকলে, কারা বাইরে যাচ্ছেন তার হিসাব থাকবে। পাশাপাশি, কখনও কোনও বিপদ হলে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁর খোঁজ পাওয়া এবং পরিবারকে সাহায্য করাও সুবিধার হবে বলে জানান তিনি। 


বাংলার ছাত্ররা যাতে বাইরে না যান, সেই আবেদনও শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, 'আমি চাই না বাংলার ছাত্ররা বাইরে যাক। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার ছাত্র স্টুডেন্টস্ ক্রেডিট কার্ড নিয়েছে।' সম্প্রতি মিজোরামে একটি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, সেখানে কর্মরত একাধিক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। তা নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূল-বিজেপি বাগযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছিল। এদিন তিনি বলেন, 'আমাদের এখানের শ্রমিকরা মারা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত প্রদেশে গিয়ে। কেউ পড়তে, কাজ করতে বাইরে যেতে চাইলে রাজ্যের পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। আমাদের রাজ্যের মানুষের হাতের কাজ ভাল। শ্রমিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায়, নিরাপত্তার কথা ভাবে না। সামাজিক নিরাপত্তায় পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে প্রথম।'


আরও পড়ুন: দত্তপুকুর কাণ্ডের জের! সাসপেন্ড নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি