কলকাতা: রাজ্যে চার পুরসভার ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ভোটের ফলাফল নিয়ে এবিপি আনন্দর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতি নিয়েও কথা বলেছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাংলা সম্পর্কে কটাক্ষের জবাবও দিয়েছেন তিনি। এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে- কে বলেছেন, যোগীর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, উত্তরপ্রদেশের হার দেখছে বিজেপি।  এবার তৃণমূল কংগ্রেস গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করছে। তৃণমূলের এই পদক্ষেপ নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোর তরজা দানা বেঁধেছে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিরোধী ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই গোয়ায় পা রেখেছে তৃণমূল। পাল্টা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এনেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী-জোট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বল ঠেলেছেন কংগ্রেসের কোর্টে। কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি।


মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, কংগ্রেস কংগ্রেসের মতো চলবে। আমরা আমাদের মতো চলব। কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলির ভাব নেই। শুধু কয়েকটি রাজ্যে যাদের কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাতে হচ্ছে, তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তারাও ভয়ে ভয়ে আছে, কখন বুঝি চলে যায়। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলির সহযোগিতা রয়েছে। আমরা আঞ্চলিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে কথা বলছি। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমাদের মধ্যে একটা সহযোগিতা আছে।  ব্যক্তিগত কারও প্রতি কোনও উষ্মা আমার নেই।’


আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ফের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বলেছেন, বিজেপি সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দিচ্ছে। প্রেসিডেন্সিয়াল ধাঁচের সরকার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার স্বার্থে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে এক জায়গায় আসতে হবে। যুদ্ধে একটা কাঠবেড়ালিরও সাহায্য লাগে। 


কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, শুধু কংগ্রেস নয়, সিপিএমকেও বলেছিলাম। কিন্তু তারা কিছু না করলে কী করার আছে! 


তিনি আরও বলেছেন, ধর্মনিরক্ষতায় যারা বিশ্বাস করে  একমঞ্চে আসার ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘চব্বিশের ভোটে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের পরিবেশ তৈরি করা কংগ্রেসের দায়িত্ব।’