কলকাতা: এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) হাঁটুর চিকিৎসা হয়ে গিয়েছে। আজই তাঁর হাঁটুতে জমা ফ্লুইড বের করা হল। বাড়ি গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য়, রাতে হাসপাতালে থাকতে চাননি তিনি। সেই কারণেই তাঁকে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত পায়ের ওপর ভর দিয়ে বিশেষ কাজ করা যাবে না।
সাইনোভিয়াল ফ্লুইড: এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) আজ মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুর চিকিৎসা হয়। পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন হাঁটুতে ফ্লুইড জমেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। চিকিৎসা করাতে উডবার্ন ব্লকে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে তাঁকে ভর্তি করা হয়। এই কেবিনের নীচের তলায় অর্থোপেডিক ওটি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটু থেকে ফ্লুইড বের করা হয়। চিকিৎসকদের নেতৃত্বে ছিলেন ফিজিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান রাজেশ প্রামাণিক। এসওপি অনুযায়ী, ফ্লুইড বের করার পর, ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে থাকবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই। শেষপর্যন্ত বাড়িতেই ফিরে এলেন মমতা।
এসএসকেএমে ছোটো অস্ত্রোপচার: হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময় নামতে গিয়ে কোমরে-পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে ভর্তি না হলেও বাড়িতেই ফিজিওথেরাপি চলছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে ছোটো অস্ত্রোপচার করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। উডবার্ন ব্লকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জমে থাকা ফ্লুইড বের করা হয়। চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফিজিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান রাজেশ প্রামাণিক। এসওপি অনুযায়ী, ফ্লুইড বের করার পর, ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত। তবে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে না থেকে বাড়িতে ফিরলেন। বাড়ি গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
লিগামেন্ট ইন্জুরির যা হয়েছে সফল। দুপুরে মমতাকে আনা হয়। নিজেই হেঁটে যান উডবার্নব্লকে। সাড়ে ১২ বনম্বর কেবিনে। রেডিও ইমেজিং করা হয়েছিল । বিভিন্ন টেস্ট করা হয়। ওটি ২ ঘন্টা। দুপুর ২টো নাগাদ এসেই চলে যান ইউসিএম বিল্ডিংয়ে বিশেষ ধরনের রেডিও ইমেজিং করা হয়। সেখানে থেকে উডবার্ন ব্লকে সাড়ে নম্বর রাখা হয় তাঁকে। চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিকের তত্ত্ববধানে ভর্তি করা হয়। ওপরে তাঁকে ওটি তে ৩ টে নাগাদ সাড়ে ৪টে অবধি। ওটি শেষের অসারভেশ্ন ফের তাঁকে ফের তাকে সাড়ে কেবিন। সেখানে তিনি অবসার্ভেশনে ছিলেন। আপাতত তাঁর শারিরীক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। পায়ে চাপ পড়ে সেরকম কাজ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। ফিজিও থেরাপিস্টরা যাবেন দেখতে বাড়িতে। বিশেষ ধরনের ব্যান্ডেজ করা রয়েছে তাঁর পায়ে। পাশাপাশি ব্যথা কমাতে অ্যান্টি বায়োটিক দেওয়া হয়েছে।