কলকাতা: তৃণমূলের নতুন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির (TMC Disciplinary Committee) চেয়ারম্যান হলেন সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সরিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ নয়া বিধি-নিয়মও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সেই বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 


রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঘটল রদবদল


তৃণমূলের নয়াভবনে বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠক বসে। তাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র (Mamata Banerjee) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই শৃঙ্খলাকমিটির মাথায় রদবদল ঘটানো হয়।  একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁকে না জানিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কোনও বৈঠক করা যাবে না। মমতা নিজে এই নির্দেশ দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। 


একই সঙ্গে লাল-নীল বাতির ব্যবহারেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। দলীয় সূত্রে খবর, মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকারি নিয়ম মেনেই লাল বাতি-নীলবাতি ব্যবহার করতে হবে। সম্প্রতি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বাতি লাগানো গাড়িতে হাসপাতালে আনাগোনা করায় বিতর্ক দানা বাধে। তার পরই এ দিন এমন নির্দেশ দিলেন মমতা। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ''যাদের লক্ষ, লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি, তারা আবার কৌটো নাড়ে'', বিজেপিকে তোপ মমতার


দলীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি মমতাকে না জানিয়ে সম্প্রতি শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়। তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা। তার পরই এ দিন এই রদবদল এবং একই সঙ্গে মমতা জানিয়ে দিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কোনও বৈঠক করতে পারবে না শৃঙ্খলা কমিটি।


একই সঙ্গে জানা গিয়েছে যে, ও দিন ব্লক এবং জেলাস্তরেও ব্যাপক রদবদলের ঘোষণা করেছেন মমতা। দলীয় সূত্রে খবর, ব্লক এবং জেলা কমিটিগুলিকে ভেঙে দেওয়া হতে পারে। তার জন্য ২০ মে থেকে বিভিন্ন স্তর থেকে মতামত নেওয়া হবে। তার পর ধাপে ধাপে সাংগঠনিক রদবদল ঘটানো হবে দলের তরফে। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তালিকায় আরও রদবদল


এত দিন জেলা কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করতেন মমতা। এ বার বুথস্তর থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পথে এগোচ্ছেন তিনি। তার জন্য আগামী ১০ তারিখ মেদিনীপুরে বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১২ তারিখ যাচ্ছেন ঝাড়গ্রান। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে দলকে ঢেলে সাজাতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পার্থকে সরানো নিয়ে ননা তত্ত্ব সামেন আসছে। এসএসসি মামলায় সম্প্রতি সিবিআই-এর ডাক পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। আইকোর মামলাতেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। সম্প্রতি দলের একাধিক সদস্য প্রকাশ্যে তরজায় জড়ালেও, মৃদু হুঁশিয়ারি ছাড়া শৃঙ্খলা কমিটি কোনও পদক্ষেপই করতে পারেনি। তাতেই পার্থকে সরানো হয়ে থাকতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।