আশাবুল হোসেন, শিবাশিস মৌলিক ও বিজেন্দ্র সিংহ: 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে'র বর্ষপূর্তিতে শাসক-বিরোধী সবপক্ষের কাছেই রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার হয়ে উঠল 'কুইট ইন্ডিয়া' (Quit India Movement)। পরিবারবাদ ইস্যুতে ফের খোঁচা দিয়ে টুইট খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদের বাইরে বিক্ষোভে বিজেপি। পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখেও এবার 'ভারত ছাড়ো'। 


কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের মুখেও বার বার উল্লেখ


২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) আগে, বিরোধী জোট INDIA-কে নিশানা করে সম্প্রতি 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে'র প্রসঙ্গ টানেন মোদি। মহাত্মা গাঁধীর মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ভারতবাসীকে দেশ থেকে  দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, তুষ্টিকরণ তাড়াতে আহ্বান জানান। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের মুখে বার বার উঠে আসছে একই প্রসঙ্গ। 


মহাত্মা গাঁধীর 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে'র ৮১ তম বর্ষপূর্তিতে এবার কার্যতই রাজনৈতিক আক্রমণের 'হাতিয়ার' হয়ে উঠল 'কুইট ইন্ডিয়া'। দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের অভিযোগকে সামনে রেখে বিরোধীদের আক্রমণ করে, কুইট ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মহানদের প্রতি শ্রদ্ধা। গাঁধীজির নেতৃত্বে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করার জন্য এই আন্দোলন বড় ভূমিকা পালন করেছিল। আজ ভারত একসঙ্গে বলছে, দুর্নীতি ভারত ছাড়ো। পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো। তোষণ ভারত ছাড়ো'।


আরও পড়ুন: Mamata on DA: 'নির্বাচন এলেই কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের DA বাড়ায়', মন্তব্য মমতার

ঝাড়গ্রামের সভা থেকে এর পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি মমতা। তিনি বলেন, "আজ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নামে শপথ নিয়ে বলছি, বিজেপি তুমি দিল্লির গদি ছাড়ো। বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো। তোমার দিল্লির মসনদে থাকার অধিকার নেই।"


বিজেপি-র মুখে 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে'র কথা মানায় না বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের (সংগঠন) সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, "বিজেপি-র সঙ্গে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কী সম্পর্ক? ওদের লোকজন কোনও দিন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। আজকের কেন্দ্রীয় সরকারকে দেখলে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কথা মনে পড়ে। ভারতীয়দের এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।"


২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তুঙ্গে তরজা


বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেই নিয়ে সব শিবিরেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।  সেই আবহেই শাসক-বিরোধী সবপক্ষের কাছেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল 'ভারত ছাড়ো আন্দোলন'।