পশ্চিম মেদিনীপুর : ভারী বর্ষণের জেরে ফের জল-যন্ত্রণার মুখে রাজ্যের মানুষ। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই ফের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আটকে থাকার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দেবকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্য সরকার দেড় হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে।'
আরও পড়ুন, ভোটার লিস্টে 'কারচুপি',বারুইপুর পূর্ব ও ময়নার ERO-কে সাসপেন্ড করল কমিশন
ঘাটালে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে নিশানা, দেব পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রের কাছে পড়ে ছিল। তাঁরা কিছু করেনি।.. কিন্তু ইতিমধ্যেই আমরা দেড় হাজার কোটি টাকার একটা মাস্টার প্ল্যান করেছি।..ঘাটাল পুরসভাকেও টাকা দেওয়া হচ্ছে। বর্ষার পরেই তাঁরা কাজটা শুরু করবে। মনে রাখবেন, এবারে বর্ষাটা একটু আগে শুরু হয়েছে। এখন সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই বর্ষার মরশুম। এখন তো চারিদিকে বর্ষা এতবেশি হচ্ছে, একদিকে DVC-র ছাড়া জল, অন্যদিকে মাইথন-পাঞ্চেত।..এবারে তো ১১ গুণ বেশি জল ছেড়েছে আরও। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে তদারকি করবার জন্য, সেচ মন্ত্রী, ঘাটালের MP-MLA-সহ একাধিক জনের নাম ঘোষণা করে মমতা বলেন, একটি মনিটারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।..'
'২০২৬ সালের পর ডিভিসির ছাড়া জল কীভাবে আটকানো হবে তার পরিকল্পনা হবে'
মূলত, রাজ্যে প্রায় প্রতিবছরই প্রবল বর্ষণের মাঝে কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বরাবরই 'ম্যানমেড বন্যা' বলে অভিযোগ করে এসেছেন। কাঠগড়ায় বারবার উঠে দাঁড়ায় জল নিকাশি ব্যবস্থা। এদিন এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, '২৫ কিলোমিটার নদীপথ ড্রেজিংয়ের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭ কোটি টাকা খরচ করে পাম্প বসানো হবে। সব রেকর্ড ছাপিয়ে জল ছেড়েছে ডিভিসি। বাংলা আর কত সইবে ? ২০২৬ সালের পর ডিভিসির ছাড়া জল কীভাবে আটকানো হবে তার পরিকল্পনা হবে'
শস্য বীমা
অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি Corp Insurance Scheme আছে। যেখানে প্রতিবছর যাদের জমি ডুবে যায়, তাঁদের সবাইকে আমরা ইন্সুরেন্সের টাকা দেব। ..এখন এই টাকাটা আমাদের রাজ্য সরকার বহন করে। জল কমলে জমির সার্ভে হবে।' মমতার আরও অভিযোগ, 'নদী ভাঙন রোধে টাকা দিত কেন্দ্র, কিন্তু এখন সব বন্ধ।..এখন সবই আমাদের করতে হয়।'