কলকাতা: দুবাই যাওয়ার পথে বাধা, বিমানবন্দরেই রুজিরাকে ইডির নোটিস। বিদেশ যাওয়ার সময় অভিষেক-পত্নীকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'অসুস্থ মাকে দেখতে বিদেশ যাচ্ছিলেন রুজিরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইডিকে বিদেশযাত্রার কথা জানিয়েছিলেন রুজিরা।'মন্তব্য মমতার। করমণ্ডল দুর্ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই তলবের চক্রান্ত দেখছেন মমতা।


মমতার তোপ:
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠানো নিয়ে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'অসুস্থ মাকে দেখতে বিদেশ যাচ্ছিলেন রুজিরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইডিকে বিদেশযাত্রার কথা জানিয়েছিলেন রুজিরা। বিমানবন্দরে গিয়ে তলবের নোটিস ধরানো অমানবিক বিষয়। মৃত্যুর মিছিল চলছে, লজ্জা নেই, সমবেদনা নেই। মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।'


বিদেশ যাওয়ার পথে বাধা, বিমানবন্দরেই রুজিরাকে ইডির নোটিস। ৮ জুন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য বিমানবন্দরেই রুজিরাকে ইডির নোটিস দেওয়া হয়। এদিন সকাল ৭ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন রুজিরা। ইডির মামলায় লুক আউট সার্কুলার থাকার কারণ দেখিয়ে বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।  বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান রুজিরা। বিদেশ যাওয়ার আগে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে ইডিকে, শর্ত দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ইডিকে চিঠি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার কথা জানানোও হয়েছিল, দাবি রুজিয়ার পরিবার সূত্রে। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে খবর রুজিরার পরিবার সূত্রে। 


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রুজিরাকে বাধা, দাবি পরিবার সূত্রে। 'অভিষেক-রুজিয়ার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। অভিষেক-রুজিরার বিদেশযাত্রাতেও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। ৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল সলিসিটর জেনারেল। এর পরে অক্টোবরে রুজিরার মার্কিন সফরে কোনও আপত্তি জানায়নি ইডি। ৫ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত দুবাই যাত্রার জন্য ইমেল করে জানানো হয়েছিল ইডিকে। রুজিরার বিদেশযাত্রা নিয়ে ইমেল করার পরেও কোনও আপত্তি করেনি ইডি। ২৩ জুন, ২০২২-র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর রুজিরাকেও ডাকেওনি ইডি। কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেকের স্ত্রীকে বাধা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। ৮ তারিখ সিজিও কমপ্লেক্সে তলব নিয়ে দাবি রুজিরার পরিবার সূত্রে। 


বিজেপির প্রতিক্রিয়া:
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'অপরাধ, অপরাধী আর অপরাধী নয়। এই বিচার করতেই হয়। ইডির কাছে নিশ্চয় কোনও বিষয় রয়েছে, সেটা ইডি বলতে পারবেন। সেই জন্য়ই আটকেছে। রাষ্ট্রীয় বিষয় হলে, রাষ্ট্রীয় অপরাধ হলে বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকে। এটা মানবিক-অমানবিক বিষয় নয়। যার পরিবারের কাছের লোক তাঁর মানবিক বিষয়।'


আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?