কলকাতা: ভারত গ্রীষ্মকালীন দেশ। গরম পড়লেই রকমারি ঠান্ডাপানীয়ের চাহিদা বাড়ে। তাতে তেষ্টা মিটলেও, কাজ তেমন কিছু হয় না। বরং একাধিক ভারতীয় পানীয়, ফলের রস রয়েছে যা গরমের মরসুমে তেষ্টাও মেটায়, অন্য উপকারও করে।


গ্রীষ্মকালীন নানা ফলের রস যেমন হয়েছে, তেমনই রয়েছে ডাবের জল। যা আদতেই 'Summer Drinks'। এইগুলি ছাড়াও আরও একটি ফসল রয়েছে যা গরমের সময়ের জন্য আদর্শ। সেটি হল আখ (Sugarcane)। আখের রসের একাধিক উপকার রয়েছে। গ্রীষ্মে আখের রস তেষ্টা মেটাতে পারে, শরীরের একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টিপদার্থও সরবরাহ করতে পারে। 


আখের রসে বিপুল মাত্রায় গ্লুকোজ বা শর্করা থাকে। আর থাকে ইলেকট্রোলাইটস বা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াপ জন্য প্রয়োজনীয় নানা খনিজ পদার্থ। আর্দ্রতার জন্য গরমের সময় প্রবল ঘাম হয়। কোথাও শুষ্ক গরমেও শরীর খারাপ হয়ে থাকে অনেকের। এর অন্যতম কারণ ডিহাইড্রেশন। আখের রসে নানা খনিজ থাকায় এটি হাইড্রেশন ফেরাতে সাহায্য করে। আখে শর্করার উপস্থিতি অনেকটাই বেশি। কিন্তু গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে নীচের দিকে রয়েছে এটি। অর্থাৎ আখের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। ফলে ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে ডায়াবেটিকরাও অল্প খেতেই পারেন। আখে বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা ত্বক, চোখ এবং দাঁতের জন্য ভাল। কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। আখে ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। যা দাঁতের জন্য ভাল। দাঁতের এনামেল ভাল রাখতে এবং মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে উপকারী  এটি। আখের রসে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। এটি শরীরে PH-মাত্রায় ভারসাম্য রাখতে সাহায্য় করে। হজমের সমস্যা থাকলেও কাজে লাগতে পারে আখের রস। হজমশক্তি ঠিক রাখতেও উপকারী এটি। আখের রসে Diuretic গুণ রয়েছে। যা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় সুরাহা দিতে পারে। মূত্র সংক্রান্ত সমস্যাতেও উপকারী। শরীর থেকে অতিরিক্ত নুন ও জল সরাতে সাহায্য় করে। একাধিক ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় আখের রস লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভীষণ প্রয়োজনীয়। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে রোজের মেনুতে রাখুন জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার, কী কী খেতে পারেন?