হাওড়া: 'রাজ্য়ে দ্রুত শিল্পায়নই (Industrialization) লক্ষ্য। খবর আছে, জমি পেতে দেরি হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। বরদাস্ত করা হবে না এসব'। হাওড়া শরত্‍ সদনে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকে (Administrative Meeting) ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন এমনই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী (Cm) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


বৃহস্পতিবার হাওড়ার (Howrah) শরৎ সদনে (Sarat Sadan) প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কাজের খতিয়ান নেন সব দফতরের কাছ থেকে। পুরভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। তা নিয়ে সকাল থেকেই প্রস্তুতি ছিল চরমে। বৈঠকে যোগ দেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও সচিবরা। জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে। যোগ দেন বিধায়ক, মন্ত্রীরাও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছি গোটা এলাকা। য় মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।


এ দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, হাওড়া জেলায় আগামী ২ বছরে ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। হাওড়া শিল্প পার্কের কাজ আগামী ৫ বছরের মধ্যে শেষ হবে। পাশাপাশি হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে থেকে পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিককে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পপতিদের বললেন, গণ্ডগোল করলে আমায় খবর দেবেন।


দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে আরও ভালভাবে পৌঁছে দিতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ফের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি একথা ঘোষণা করেন।


দুয়ারে রেশনের জন্য ডিলারশিপ নিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদেরকে লোক নিয়োগের ছাড়পত্রও দিল রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে দেন, প্রত্যেক রেশন দোকানে ডিলাররা দু'জন করে লোক নিয়োগ করতে পারবেন। সেই ভিত্তিতেই তাঁর প্রত্যাশা, 'রাজ্যের সব রেশন দোকানে প্রায় ৪২ হাজার চাকরি হবে।' পাশাপাশি ডিলারদের লোক নিতে উৎসাহিত করতে দোকানের কর্মচারীদের মাইনের অর্ধেক দেবে রাজ্য সরকার, বলেও জানান তিনি। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রেশন দোকানের কর্মচারীদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে মাইনে দেওয়া হবে।


গতকাল তিনি বলেন, প্রতি মাসে ১০ কোটি মানুষ নির্দিষ্ট দিনে বাড়িতে বসে রেশন পাবেন। পাশাপাশি দুয়ারে রেশনের (Duare Ration) ডিলারশিপ নিতে ডিলারদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজের গাড়িতে রেশন পৌঁছে দিলে ডিলারকে ১ লক্ষ টাকা দেবে রাজ্য। অর্থাৎ দুয়ারে রেশনের ডিলারশিপ নিয়ে নিজের গাড়ি ব্যবহার করলে ১ লাখ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনে বলেও জানান তিনি। কৃষকদের জন্য ফসল বিক্রির মিনিমাম প্রাইস ১৯৪০ টাকা করার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।