কলকাতা: ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের (Loksbaha Election 2024) আগে বিরোধী ঐক্যে শান। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (CM Nitish Kumar)। দুপুর ২টোয় নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রীর (CM Meeting)বৈঠক হওয়ার কথা।আলোচনায় উঠে আসতে পারে জাতীয় রাজনীতি ও বিজেপি বিরোধী জোটগঠনের প্রসঙ্গ।


নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী,  অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের মতো নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত মাসেই কালীঘাটে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। এরপর ওড়িশায় গিয়ে নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা হয়েছে জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্টালিনের সঙ্গেও। 


প্রসঙ্গত,  'দেশের গণতন্ত্র কীভাবে বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে আমরা একজোট হব। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও দলের এমন আচরণ করা উচিত নয়, যাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ক্ষতি হয়।' গতমাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেই উপলক্ষ্য়ে শহরে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেই কর্মসূচির ফাঁকে কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।


সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে প্রচার চালাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদব। মোদি সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নানা নীতির বিরুদ্ধে যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করার ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন তৃণমূল নেত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি।


জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, একদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কট, বেকারত্ব। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের মতো অভিযোগে মোদি সরকারকে যখন বিরোধীরা চেপে ধরার চেষ্টা করছে। তখন বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের অস্ত্র দুর্নীতির অভিযোগ। যা নিয়ে বাংলা-সহ রাজ্যে রাজ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি।


আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেলের দামে স্বস্তি এই শহরগুলিতে, তালিকায় আছে কি কলকাতা ?


কলকাতায় পা রেখে সেই বিষয়টি নিয়েই সরব হন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি। অখিলেশ যাদব বলেছিলেন,'বাংলায় তৃণমূলের কম নেতা জেলে আছেন, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বহু বিধায়ক, নেতা মিথ্যে মামলায় জেলে আছেন, বিজেপি যেই দলকে ভয় পায়, সেই দলের নেতাদের বাড়িতেই সিবিআই-ইডি পাঠায়।'