কলকাতা:‘রাস্তা দিয়ে গেলে মানুষ কিছু বলবে না, তা নয়, ক্ষোভ থাকতেই পারে। মানুষের কিছু জানানোকে বিক্ষোভ বলে না।' দিদির দূত কর্মসূচিতে মানুষের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে নাম না করে বার্তা মমতার (Mamata Banerjee)।
বার্তা মমতার: এদিন তিনি বলেন, "সবাই যে আমাকে ভালবাসবেন একথা মনে করার কোনও কারণ নেই। আমার কোনও সমালোচক বন্ধু থাকবে না, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। মানুষ একটা আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, তার দুঃখের দুটো কথা বলবে না, আমি এরকম মানুষ নই। আমি চাই মানুষ বলুক। সেটাকে বিক্ষোভ বলবেন না। এটা মানুষের গ্রিভান্সেস। মানুষ উপড়ে দিল। অর্থাৎ অনেক কিছু তো হয়। হয়ত আমাদের নলেজে এল না। সেই নলেজে আনবার জন্য় যদি এইটুকু মানুষ বলবার জায়গা না পায় তাহলে কী হবে?''
ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গাতেই চূড়ান্ত ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে দিদির দূত তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের। এই ক্ষোভের প্রতিফলন কি ভোটের বাক্সে দেখা যাবে? নাকি জমে থাকা ক্ষোভ বেরিয়ে আসার ফলে, ভোটে আর তার ছাপ পড়বে না? সেই প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। এরই মধ্যে, দিদির দূত হয়ে, গ্রামে গিয়ে, ফের প্রশ্নের মুখে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার তিনি গেছিলেন রামপুরহাটের বালিয়া গ্রামে। সেখানেই তাঁর দেখা না পাওয়া নিয়ে অনুযোগের সুর শোনা যায় গ্রামবাসীদের গলায়। তৃণমূল সাংসদের কাছে পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন স্থানীয়রা। খয়রাশোলের হজরতপুর পঞ্চায়েত এলাকায়, দিদির দূত হিসেবে পৌঁছে গেছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা। তাঁকে সামনে পেয়েই, বেআইনিভাবে টোল ট্যাক্স আদায়ের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় টোটোচালকরা।
জেলায় জেলায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। সোমবারও তার অন্যথা হল না। এবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। মালদার বিনোদপুর পঞ্চায়েত এলাকায় জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে দিদির দূত হিসেবে যান সভাধিপতি। সেখানে স্থানীয় পঞ্চায়েতে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ তুলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে আবাস যোজনা প্রকল্পে, ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Budge Budge Fire: বজবজে জুটমিলের গুদামে ভয়াবহ আগুন