সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ব্যবসায়ীর (Businessman) বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। নগদ টাকা ও সোনা গয়না মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার বেশি খোয়ালেন শিমুরালির এক ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার চাকদা থানার শিমুরালির স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। চন্দন নন্দী নামে এক মাছ ব্যবসায়ী পরিবার-সহ পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কল্যাণীতে (Kalyani)। রাতে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন আলমারির ও শোকেসের সমস্ত কিছু তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


ব্যবসায়ীর দাবি, নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে চাকদাহ থানার পুলিশ এবং এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রসঙ্গত, গতবছর দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরে সোনার দোকানে অভিনব উপায়ে চুরি করে দুই যুবক পালানোর অভিযোগ ওঠে । পুলিশ সূত্রে খবর, কামালগাজির মোড়ে ওই সোনার দোকানে মাদুলি কিনতে দুই যুবক আসে। রুপোর মাদুলি কিনে তারা টাকাও দেয়। তারপর কথায় কথায় দোকান মালিককে ব্যস্ত রেখে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না হাতসাফাই করে। দুই যুবক চলে যাওয়ার পর বিষয়টি নজরে পড়ে মালিকের। আর সেই গোটা ঘটনা ধরা পড়ে দোকানের সিসি ক্যামেরায় । নরেন্দ্রপুর থানায়  দায়ের হয় অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই অভিযুক্ত প্রায় প্রায় ১৫০ গ্রাম সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাদের দুজনের মাথায় টুপি ছিল। মূলত হিন্দিতেই কথা বলতে থাকে। মাদুলি কেনার পর তার টাকাও মিটিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর সোনার গয়না কেনার জন্য দোকান মালিককে গয়না দেখাতে বলে। সেই ফাঁকে  থাকা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার গয়না নিয়ে নেয়। অভিযোগ জানানোর পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নামে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন, 'শহিদ দ্বীপের নাম, নেতাজি দিয়েছিলেন', প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর


অভিনব চুরির আরও উদাহরণ রয়েছে। এই ঘটনাটাও ঘটেছে গতবছর। জলপাইগুড়ি শহরে অভিনব চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সেবার। চুরি করে গৃহস্থের বাড়িতে চিঠি পাঠায় চোর। নথি ফেরতের শর্ত দিয়ে দাবি করা হয় লক্ষাধিক টাকা। জলপাইগুড়ির ওয়াকারগঞ্জে চুরির পর ব্ল্যাকমেলের এই নজিরবিহীন ঘটনাই সবাইকে চমকে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত বর্মনের বাড়িতে তালা ভেঙে চুরি হয়। অভিযোগকারীর দাবি, চুরির দু’দিন পরেই বাড়িতে চিঠি পাঠায় দুষ্কৃতীরা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সামগ্রী ফেরত পেতে হলে, লক্ষাধিক টাকা দিতে হবে। চিঠি পেয়েই জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহকর্তা। অভিযোগকারী কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন, “আমার বাড়ি থেকে সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে যায়। নথিপত্রও চুরি করে। তারপর টাকা চেয়ে চিঠি পাঠাতে শুরু করে।’’ চিঠি দিতে আসা এক টোটোচালককে হাতেনাতে পাকড়াও করে স্থানীয়রা।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই টোটো চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হদিশ মেলে মূল অভিযুক্তর। এরপরেই ওয়াকারগঞ্জ এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত সুদীপ রায়কে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা। নেপথ্যে বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা, তদন্তে নামে পুলিশ।