উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : 'আমাকে কেউ পলিটিক্যালি গবেট ভাবতে পারেন, আমার কিছু করার নেই। উন্নয়নের জন্য যে কেউ পরামর্শ দিতে পারেন।' বিধানসভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আগে বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হয়ে যেত। আমি নষ্ট ধান দিয়ে ধান চাষ করতে বলি, এখন প্রচুর নোনা ধান হয়। সব রাজ্য পোস্ত চাষের অনুমতি পেলে আমাদের রাজ্য কেন পাবে না। ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছি, বিরোধী বন্ধুরাও বলুন', বিধানসভায় (Assembly) বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কেন এই মন্তব্য ? জল্পনা


বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন বিধানসভার অধিবেশনে একেবারে শেষপর্বে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাদ্য দফতরের বাজেট নিয়ে এদিন আলোচনা চলছিল বিধানসভায়। সেই নিয়ে বলতে উঠে একেবারে শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে ধানের উৎপাদন যে এতটা বেড়েছে, সেটার কৃতিত্ব কিন্তু রাজ্য সরকারের। সেই কথা বলার পরই মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরও নিজস্ব কিছু কৃতিত্ব রয়েছে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাকে কেউ পলিটিক্যালি গবেট ভাবতেই পারেন, কিন্তু সুন্দরবন এলাকায় দিনের পর দিন নোনা জমিতে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। আমি বুদ্ধি দিই সেই ধানগুলো থেকে ধান তৈরি করে নতুন করে ধান লাগাতে। যারপর দেখা গেছে, সেই ধান কিন্তু নোনা জলে খুব একটা নষ্ট হয় না।' 


কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ডিএ নিয়ে মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল শোরগোল। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেছিলেন, ১০৫ শতাংশ ডিএ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর বেশি আর দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কারোর যদি তাঁকে পছন্দ না হয়, তাহলে মুন্ডু কেটে নিতে পারে। যারপর বিরোধীদের নিশানা করে তিনি জুড়েছিলেন, পেনশন দিতে রাজ্য সরকারের অনেক টাকা খরচ হয়, বিরোধীরা কী চাইছে, পেনশন দেওয়া বন্ধ করে দিক রাজ্য সরকার ? যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রবল রাজনৈতিক তরজাও।


ডিএ তাঁদের বকেয়া দাবি করে ইতিমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পথে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ডিএ দয়ার দান নয় তাঁদের অধিকার। যা নিয়ে শুক্রবার ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা। পাল্টা সন্তোষজনক কারণ না দেখালে চাকরিজীবনের একটি দিন কাটা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দফতর।


আরও পড়ুন- 'মমতাদি, স্টপ ইট। প্লিজ স্টপ ইট', পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলনেত্রীকে 'অস্বস্তির বার্তা' ইসলামপুরের বিধায়কের