কলকাতা: বিজেপি-র নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) ঘিরে মঙ্গলবার দিনভর ধুন্ধুমার দেখেছে শহর কলকাতা এবং হাওড়া। দলবেঁধে রীতিমতো পুলিশের উপর চড়াও হতে দেখা গিয়েছে তাদের। সেই নিয়ে এ বার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, পুলিশ গুলি চালাতেই পারত, কিন্তু তা না করে অত্যন্ত সংযম দেখিয়েছে তারা।


বিজেপি-র নবান্ন অভিযান নিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া মমতার


পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) প্রশাসনিক সভা থেকে বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন, "পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিশ সংযত ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। আন্দোলনের নামে বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত নয়। সমাজবিরোধীমূলক রাজনীতি করলে পুলিশ পুলিশের মতো ব্যবস্থা নেবে।"


মঙ্গলবার, বিজেপির নবান্ন অভিযানে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের পথে যান কর্মী-সমর্থকরা। সাঁতরাগাছিতে পুলিশকে লক্ষ্য় করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া ময়দানেও অশান্তি চরমে ওঠে। আবার কলকাতায় পুলিশকে তাড়া করে পেটানোর দৃশ্যও সামনে এসেছে। খাস লালবাজারের সামনে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।


আরও পড়ুন: Ravi Shankar Prasad : নবান্ন অভিযান নিয়ে আসরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সাংবিধানিক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি রবিশঙ্করের


সেই নিয়ে মমতা বলেন, "বিজেপির নবান্ন অভিযানে বড়বাজারে ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। বিজেপির নবান্ন অভিযানে মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। পাশে লোক নেই। ট্রেনে করে অন্য রাজ্য থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি করা হয়েছে। গুন্ডামি করেছে। আন্দোলনের নামে ব্যাগে করে বোমা-বন্দুক নিয়ে আসা, মাথা ফাটানো ঠিক নয়।"


মঙ্গলবার দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের


বিজেপি-র নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তি এবং হাঙ্গামা নিয়ে এর আগে মুখ খোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তাঁর কথায়, 'বাংলা যদি ভোগী অজয় বিস্তের মডেল ব্যবহার করে, যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে, সেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার পাঠাত, তাহলে কেমন হত? বিজেপি কি নিজেদের নীতিতে অনড় থাকবে?'


তবে গতকাল মিছিল রোখা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে বিজেপি। পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আদালতে গিয়েছে তারা। তার জেরে রাজ্যের কাছে জবাবদিহিও চেয়েছে আদালত।