হাওড়া : কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। ২০১৬-তে নিয়োগের সময় যাঁরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন, তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সেই রায় নিয়েই চাকরিহারাদের পাশে থেকে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, 'যতদূর লড়াই করতে হয়, রাজ্য সরকার সেটা করবে।'


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'পরিবারগুলো বারবার আমাকে অ্যাপিল করছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিভিশন বেঞ্চে আমরা যাব। যেটার ওপর ভিত্তি করে রায়টা সেটার বিরুদ্ধে আমাদের আইনজীবীরা বলবেন। তবে কেউ একটা দাবি করেছিল, ওঁরা ট্রেনিং নেয়নি কিন্তু  তেমনটা নয়। ট্রেনিং ওঁরা নিয়েছে। ওঁদের একটা অর্ডার ছিল। চাকরিতে ঢোকার তিন বছরের মধ্যে এক বছরের ট্রেনিংটা নিতে হবে বলা ছিল অর্ডারে। যেটা ওঁদের সবার নেওয়া। আরও অনেক পয়েন্ট রয়েছে, তবে বিষয়টা যেহেতু আদালতে যাবে তাই এই নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আইনজীবীরা নির্দিষ্ট জায়গায় তা বললেন।' 


পাশাপাশি মানবিকভাবে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, '৩৬ হাজারের সঙ্গে প্রায় ২ লক্ষ পরিবার জড়িয়ে। সবাইকে বলব কেউ ভেঙে পড়বেন না। মানসিকভাবে কেউ হতাশ হবেন না। মন খারাপ করবেন না। আমাদের সরকার সবসময় মানবিক, যে কোনও সময়ে পাশে থাকে। তাই তাঁদেরকে বলব, আমাদের সরকার আইনত যতদূর লড়াই করা যায়, সেটা করবে। আর আমার ধারণা, আপনারা ভাল থাকবেন। এই কথাটা এই জন্যই বললাম, কারণ আমার কাছে বিভিন্ন খবর আসছে। অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগছে। কখন কে কী একটা করে দেবে, তখন সেগুলো কি আমরা রক্ষা করতে পারব। একটা মানুষের জীবনও অনেক দামী। আমি যদি সত্যিই কোনও অন্যায় করে থাকি, তাহলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও ক্রিমিনাল অ্যাক্ট বা কোরাপশন অ্যাক্টকে সমর্থন করব না।'


প্রসঙ্গত, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হওয়া, সংরক্ষণ নীতি না মানা সহ একাধিক অভিযোগের পরে ২০১৪-র প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষায় ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৪-র পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ তে নিয়োগ হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত যাঁরা প্রশিক্ষণ নেননি তাঁদের চাকরি বাঁচানোর কোনও সুযোগই দেয়নি আদালত। তবে মাঝে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হয়েছে সুযোগ। নতুন করে পরীক্ষার পর ইন্টারভিউতে তাঁরা বসতে পারবেন বলেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মাঝে চারমাস তাঁরা পার্শ্ব শিক্ষকের হারে বেতন পাবেন বলেও জানায় আদালত। যারপরই শুরু হয় বিক্ষোভ।



আরও পড়ুন- টাকা নেই, মুখ ফিরিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স! সন্তানের দেহ ব্যাগেই ফেরালেন বাবা


আর এবার চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন: Summer Acne Problem : গরমে ব্রন নিয়ে জেরবার ? এই নিয়মগুলি মেনে চললে মিলবে মুক্তি