মেদিনীপুর : রাজ্য সরকার ও তাঁর চোখ যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, (Panchayat Election 2023) জঙ্গলমহল সফরের সভা থেকে সেটা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষের উপকৃত হওয়ার খতিয়ান উঠে এল তাঁর বক্তব্যে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাস্তাশ্রী প্রকল্প (Rastasree Scheme) নিয়ে দাবি। কেন্দ্রীয় সরকার খারাপ রাস্তা সারানোর জন্য টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার যে রাজ্যে সড়কপথের উন্নয়নে নজর দিয়েছে সেটা বুঝিয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, সাড়ে এগারো হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছি।
রাস্তাশ্রী প্রকল্প
বুধবারই রাজ্য বাজেট পেশ করার মাঝে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের জন্য রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। আর রাস্তা উন্নয়নের যে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে রাস্তাশ্রী। সেই প্রকল্প ঘোষণার পরের দিনই জঙ্গলমহল সফরের মাঝে সেই প্রসঙ্গ সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Chief Minister Mamata Banerjee)।
জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহল সফরে (JangalMahal Tour) গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২ দিনের সফরে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া, এই তিন জেলায় পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। আজ মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন এবং একাধিক আর্থ-সামাজিক প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান মুখ্যমন্ত্রীর। মেদিনীপুরের (Medinipore) সভা সেরে এরপর হেলিকপ্টারে যাবেন পুরুলিয়ায় (Purulia)। সেখানে হুটমুড়া ময়দানেও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর রাতেই বাঁকুড়ায় (Bankura) যাবেন। আগামীকাল সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান সেরে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সবার নজর সেদিকেই।
আরও পড়ুন- আবাস যোজনার টাকা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয়, কেন্দ্রকে তোপ মমতার
কেন্দ্রকে আক্রমণ
রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। বলেন,, "কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে। আর মিথ্যে বলছে। বিজেপি নেতারা গিয়ে বলছে, 'রাস্তায় টাকা দিও না, জলে টাকা দিও না, বাড়িতে টাকা দিও না, ১০০ দিনের কাজে টাকা দিও না। মানুষ উপকৃত হলে, আমরা কোন মুখে গিয়ে ভোট চাইব!' আমি বলি, তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ এগুলো মানুষের টাকা। জনগণের কর থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায় দিল্লি। আগে রাজ্য কর সংগ্রহ করত। এখন করে না। কাপড় কিনতে গেলেও জিএসটি কাটে। সেই টাকা কেন্দ্র পায়। আমাদের রাজ্যের ভাগটা পর্যন্ত দেয় না।"