কলকাতা: ফের দাগিদের জন্য মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। দাগি অযোগ্যদের এদিন 'বেচারা' বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি দাগি অযোগ্যদের গ্রুপ C-তে চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বেচারা শিক্ষক-শিক্ষিকার কাজ করেও, অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে। হয়তো কোর্টের নির্দেশে, তাঁরা আর শিক্ষক হতে পারবেন না। তাঁরা যাতে গ্রুপ C-তে চাকরি পান, আইনি মতামত নেব। আইনি মতামত নিয়ে শীঘ্রই জানাব। কাউকে হতাশ হতে বারণ করব, আমাদের সরকার মানবিক সরকার। আমরা পলিটিক্যালি দেখি না, মানবিকভাবে দেখি।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা বয়সের দিকটা কনসিডার করেছি। এখানে আমাদের হাত-পা বাঁধা, আমরা কিছু অ্যাডভান্টেজ দিয়েছি। যাতে পরীক্ষা দিয়ে তাঁরা স্বমহিমাময় ফিরে আসতে পারেন।'
আর সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট রায়ের পরও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীদের একাংশ। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দলের নেতারা মুখে কুলুপ আঁটায়, কান ধরে ওঠবস করে জনগণের কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাইছেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর।
এত কিছুর পরও, ফের দাগিদের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার, আরও একধাপ এগিয়ে তাদেরকে বেচারা বলে সম্বোধনও করলেন। মমতা বলেন, 'আর রইল পড়ে আমার হাতে আরও কিছু। যারা বেচারা শিক্ষক-শিক্ষিকার কাজ করেও, আজকে অযোগ্য় প্রমাণিত হয়েছে। হয়তো টিচার তাঁরা হতে পারবেন না কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। কিন্তু তাঁরা যাতে গ্রুপ C-তে পায়, বা সেইরকম পর্যায়ে, আইনের সঙ্গে মতামত নিয়ে, খুব শিগগিরই আমরা এটা জানাব। '
সুপ্রিম কোর্টে ফের ভর্ৎসিত রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। 'OMR কারচুপি করে প্রার্থীদের জীবন নষ্ট করে এখন দাগিদের সুযোগ দিচ্ছেন। এরা কোন ধরনের 'নয়নের মণি' ছেলে-মেয়ে। এই দাগিদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন অ্যাড জেনারেল। OMR-এ কারচুপি করে আপনারা প্রার্থীদের জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। এখন আপনারা আবার দাগি প্রার্থীদের আবার সুযোগ দিচ্ছেন।' রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা সর্বোচ্চ আদালতের।
অন্যদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ দাগিদের আবেদন। SSC-র দাগি তালিকা চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আর্জি জানান ৩৫০ চাকরিহারা। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর রায় বহাল রাখল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। পরীক্ষায় বসতে পারবেন না কমিশনের তালিকায় নাম থাকা দাগিরা। দাগিদের অ্যাডমিট কার্ড কেন দেওয়া হয়েছিল? প্রশ্ন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর। 'প্রায় ৫ লাখ আবেদন এসেছে, ভুলবশত কেউ কেউ পেয়েছে', সেই সব বাতিল করা হয়েছে, জানাল কমিশন। ভুলের জন্য SSC আধিকারিকদের কেন কাঠগড়ায় তোলা হবে না? প্রশ্ন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর।