কলকাতা: বিধানসভা উপনির্বাচনেও রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড়। ছয়টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি একটি কেন্দ্রতেও এগিয়ে রয়েছে তারা। সেই আবহে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যখন সবুজ আবির ওড়াচ্ছেন, রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, 'মা-মাটি-মানুষকে বিনম্র চিত্তে অভিবাদন জানাই। জয় বাংলা'। (Mamata Banerjee)
শনিবার রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পথে তৃণমূল। কোথাও বিরোধীরা ছুঁতেও পারেনি তাদের। সেই আবহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা। লিখলেন, 'আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম, জোহার এবং সেলাম। আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয় ভাবে মানুষের কাজ করার উৎসাহ দেবে'। (West Bengal By Elections 2024)
শাসক নয়, তাঁর সরকার মানুষের পাহারাদার বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা। লেখেন, 'মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ, এটাই আমাদের পরিচয়। আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে। জয় বাংলা'! উপনির্বাচনের ঠিক পরই, মঙ্গলবার কালীঘাটে তৃণমূলের দলীয় বৈঠক রয়েছে। সেখানে মমতা কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।
শনিবার বিধানসভা উপনির্বাচনের যে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে, সেই অনুযায়ী দুপুর পৌনে ২টো পর্যন্ত নৈহাটিতে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। ৪৯ হাজার ১৯৩ ভোটে জিতেছেন তিনি। সিতাইয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। হাড়োয়াতে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়ী তৃণমূল। মাদারিহাটে ৩০ হাজার ৩০৯ ভোটে জয়ী তৃণমূল। বিজেপি-র থেকে মাদারিহাট ছিনিয়ে নিল জোড়াফুল শিবির। মেদিনীপুরে ৩৩ হাজার ১৯০ ভোটে জয়ী তৃণমূল। তালডাংরায় ৩৩ হাজার ৪৫৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
এমনিতে বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক-বিরোধী সমীকরণে তেমন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু এবার আর জি করের ঘটনা থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একের পর এক ঘটনা, ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ, এসবের প্রভাব ভোটবাক্সে পড়তে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার ফল প্রকাশিত হতে দেখা গেল, ছয়টি কেন্দ্রেই তৃণমূলের জয়জয়কার। বিরোধীরা কোথাও দাঁতও ফোটাতে পারেনি। এই জয়ের কৃতিত্ব যদিও মমতাকেই দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতাকে দেখে, তাঁর উন্নয়নকে দেখেই মানুষ জোড়াফুল শিবিরকে বিজয়ী করেছেন বলে দাবি জোড়াফুল নেতৃত্বের।