কলকাতা : মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে কোচবিহার-কাকদ্বীপ তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা। পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayat Poll ) আগে টানা ২ মাস রাস্তায় থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee )  । তার আগে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । 



ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, 'তৃণমূলের নব জোয়ারের মতো রাজনৈতিক প্রচার এই প্রথম। আমি এর জন্য অভিষেককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সারা রাজ্য জুড়ে এই জন সংযোগ যাত্রার জন্য সব দলীয় কর্মীকে অভিনন্দন জানাই'
ট্যুইট করে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।






দলনেত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার পর ট্যুইটে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, ' ধন্যবাদ দিদি। সাধারণ মানুষের জন্য আপনার যে উদ্যোগ তাকে আমরা প্রতিটি বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় কিংবা রাজনৈতিক রঙ কোনওকিছুই বিবেচ্য হবে না । পশ্চিমবঙ্গ আশা এবং অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসাবে সবার কাছে অনুকরণযোগ্য হয়ে উঠবে। '






বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর জনসংযোগ অভিযান। সোমবার বিকেলে কোচবিহার পৌঁছবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । এবিএন শীল কলেজের মাঠে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। বিকেলে পৌঁছে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেবেন অভিষেক। এরপর দিনহাটায় পৌঁছে সেখানেই রাত্রিবাস। কাল থেকে দিদির দূত লেখা হুডখোলা বাসে চড়ে শুরু হবে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা। দিনহাটা, শীতলকুচি, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ ঘুরে আলিপুরদুয়ার রওনা দেবেন অভিষেক। 


জোরকদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জে রাত্রিবাসের জন্য তৈরি হয়েছে তাঁবু। সেখানে বৈঠক করার পাশাপাশি রয়েছে একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও। কিন্তু জনসংযোগ যাত্রা শুরু করতে কোচবিহারকেই কেন বেছে নিলেন অভিষেক? ২০২১-এর হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটে, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূল ভাল ফল করলেও,  কোচবিহারে সিংহভাগ আসনে হারের মুখ দেখতে হয় শাসকদলকে। আলিপুরদুয়ারে একটিও আসনে জিততে পারেনি তৃণমূল! এই প্রেক্ষাপটে উত্তরবঙ্গে বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি কোচবিহার থেকেই জনসংযোগ যাত্রা শুরু করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।