পুরুলিয়া : একদিকে দোরগড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। অপরদিকে একের পর এক দুর্নীতির পাহাড়ের মাঝে অপরাধের শীর্ষে মাথা তুলেছে সন্দেশখালিকাণ্ড। জমি কেড়ে নেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধেই। ঠিক এমনই এক আবহে পুরুলিয়ায় সভায় বড় প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করলেন। বললেন, 'কেন্দ্র আবাস যোজনায় পয়লা এপ্রিলের মধ্যে টাকা না দিলে টাকা দেবে রাজ্য।' বলাইবাহুল্য লোকসভার ভোটের আগে এই ইস্যুটি বড়সড় সমীকরণ তৈরি করবে। 


ভোটের আগে পুরুলিয়ার সভা থেকে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।  এদিন তিনি বলেন,১ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্র টাকা না দিলে আবাস যোজনার ১১ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে দেবে রাজ্য। আদিবাসীদের জমি কোনওমতেই কেড়ে নেওয়া হবে না।আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না।' মূলত আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর। পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও ঝাড়গ্রাম -জঙ্গলমহলের চারটি লোকসভা আসনই বিজেপির দখলে। ২০২৪-এর ভোটে এই চারটি আসনই এবার পাখির চোখ তৃণমূলের।


গতকালই দুর্গাপুরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। আজ হেলিকপ্টারে যাবেন পুরুলিয়ায়। শহর লাগোয়া ব্যাটারি ময়দানে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধনের পাশাপাশি, রঘুনাথপুরে বেসরকারি ইস্পাত কারখানারও উদ্বোধন করবেন। এরপর বাঁকুড়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে আজ সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল খাতড়ায় প্রশাসনিক সভা সেরে যাবেন ঝাড়গ্রামে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভা সেরে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফেরার কথা। 


সম্প্রতি দেবের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও উঠে এসেছিল 'কেন্দ্র টাকা না দিলে, টাকা দেবে রাজ্য।' হুগলির সভায় মমতা বলেছিলেন, 'দেব হলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের চ্যাম্পিয়ন।  সুতরাং তোমার আবদার আমি কিন্তু রেখেছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা দেব আমাকে বলেছে। ইতিমধ্যেই আমি এ নিয়ে আলোচনা করে নিয়েছি। ..ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা তৈরি করছি। এই প্ল্যানের মাধ্যমে ১৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে না বলে, প্রোজেক্টগুলি করা যায়নি।'


আরও পড়ুন, কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালি যেতে 'বাধা'


তবে এরপর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কিন্তু তার মধ্যেই বরাদ্দ টাকায় কীভাবে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে আরও যে ১হাজার ২৫০ কোটি টাকা লাগবে,আমি অলরেডি বলেছি। দেব যখন আমার কাছে বলেছে, দিদি ভাইকে তো ফেরাতে পারে না। তাই কেন্দ্রের উপর বসে না থেকে, কবে দিল্লি দেবে, তারপরে হবে ! কবে কোকিল ডাকবে, তবে বসন্তকাল আসবে, সেই চিন্তা না করে , এটা যাতে আমরা ৩-৪ বছরের মধ্যে রূপায়িত করতে পারি সেই নির্দেশ দিচ্ছি বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।