প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে দফায় দফায় জেরা করেই চলেছে ইডি। কিন্তু মানিক ভট্টাচার্য নাকি এখনও জেরায় অসহযোগিতাই করে চলেছেন । ইডি সূত্রে এমনটাই দাবি। 

ইডির নজর এখন কোন দিকে - 



  • নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কলের ডিটেলস।

  • মানিকের মেসেজ, ইডি সূত্রে দাবি।

  • আপাতত ইডির নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।

  • নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন জেলার অফিসারের সঙ্গেও মেসেজ আদানপ্রদান হয় মানিকের।

  • প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়েও টেক্সট করেন মানিক, ইডি সূত্রে দাবি।

  • মানিকের মোবাইল ফোনে DD ও RK আসলে কে? তাই নিয়ে তদন্ত করবে ইডি। 
    -
    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবারের পর বুধবার সকালেও জেরা করবে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না মানিক। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি-র হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কলের ডিটেলস ও মেসেজও। ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বিভিন্ন জেলার নিয়োগকারীদের সঙ্গে মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে মানিকের। 


  • মানিকের প্রেক্ষাপট 

    ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তরফে জিতে বিধায়ক হন মানিক ভট্টাচার্য। টেট-দুর্নীতি মামলায় চলতি বছরের ২০ জুন মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ জুলাই মানিকের ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। ২৭ জুলাই, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রথমবার তলব করে ইডি।অগাস্ট মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে ফের তলব ইডির।  এরই মধ্যে ২৫ অগাস্ট মানিকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই। ২ সেপ্টেম্বর ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খান মানিক। ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ায় সর্বোচ্চ আদালত।