কলকাতা: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) রিপোর্টে তিনি ‘বেপাত্তা’। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। তার মধ্যেই মঙ্গলবার বিধানসভায় হাজির মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, "উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে এসেছিলাম। বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেই বিধানসভায় এসেছিলাম। ৩টি স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলাম না। সভাপতির দায়িত্ব না থাকায় সেই নিরাপত্তা আর নেই। যে বিষয়ে আমার উপস্থিতির প্রয়োজন হয়েছে, সহযোগিতা করেছি।"


সিবিআই লুকআউট নোটিসের মধ্যেই বিধানসভায় হাজির মানিক


মানিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ইতিমধ্যেই লুক আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। তার পরই মঙ্গলবার বিধানসভায় পৌঁছন তিনি। লুকআউট নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, "আমি অনুরোধ করব, একজন বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। ফিরে যাচ্ছি। বিচারাধীন বিষয়ে কোনও প্রশ্ন করবেন না। যদি বিধানসভা সংক্রান্ত বা কার্যাবলী নিয়ে প্রশ্ন থাকে, প্রশ্ন করুন।"


তিনি বিধানসভায়, অথচ সিবিআই বলছে বেপাত্তা। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, "গত রবিবার সারাদিন বিধানসভা কেন্দ্র পলাশিপাড়ায় ছিলাম। সেখানকার মানুষের প্রয়োজন মেটাতে যা যা করণীয়, করেছি। নির্ধারিত সভাগুলিতে ছিলাম। কোথাও কোনও অসুবিধা হয়নি।"


আরও পড়ুন: Saugata Roy : ‘ওর মতো স্বার্থপর আমলা দেখিনি', জহর সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সৌগত রায়


টেট দুর্নীতির (TET Scam) জেরে রাজ্য সরকার মানিকের নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সে নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে মানিক বলেন, "আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, ২০১১ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে আমাকে কিছু নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব থেকে যেদিন চলে গিয়েছি, স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপত্তা উঠে গিয়েছে। এটা খুবই সাধারণ ঘটনা।" নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে তিনি রাজ্য সরকারকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মানিক।


বিধানসভার বাইরে এ দিন মানিক আরও বলেন, "আমি আগেও বেলছি, আজকেও বলছি। এটি একটি বিচারাধীন বিষয়। তাতে যখন যখন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়েে, উপস্থিতির প্রয়োজন হয়েছে, ১০০ ভাগ সমস্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছি।" কিন্তু বাড়িতে যখন রয়েছেন, বিধানসভাতেও আসছেন, সে ক্ষেত্রে লুক আউট জারির অর্থ কী? মানিক বলেন, "প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছেই আছে। আমাকে বিব্রত করবেন না।"


তদন্তে ১০ শতাংশ সহযোগিতা করেছেন, জানালেন মানিক


SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের লুকআউট নোটিসের মধ্যেই বাড়িতে থাকার প্রমাণ দিতে এর আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মানিক। যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। পাশাপাশি, দাবি করেন, তদন্তে অসহযোগিতা করেননি এবং তিনি বাড়িতেই আছেন বলে দাবি করেন SSC নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের রেডারে থাকা মানিক।