কলকাতা : ইডি-র ( ED ) জামিন-বিরোধিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের কাছে সময় চাইলেন মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী, ছেলে ও মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ( Manik Bhattacharya ) আদালতে দাবি করলেন, 'মিথ্যে রটানো হচ্ছে, লন্ডনে বাড়ি থাকলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিন' । নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-মামলায় এজলাসে মেজাজ হারালেন মানিক ভট্টাচার্য।

মানিক ভট্টাচার্য আদালতে জানান, তাঁর নামে মিথ্যে রটানো হচ্ছে যে লন্ডনে বাড়ি আছে। যদি তা থাকে তবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিন ! নিয়োগ-দুর্নীতিতে ( Recruitment Scam )  ধৃত অপসারিত পর্ষদ সভাপতি বলেন,  সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে তাঁর। জেলবন্দি থাকায় তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারছি না। জল্পনা উড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ২টো পাসপোর্ট নয়, একটিই পাসপোর্টের পুনর্নবীকরণ হয়েছে তাঁর। ২টো পাসপোর্ট থাকলে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের।  'নদিয়াকে কি লন্ডন অধিগ্রহণ করেছে?'

নিজের সম্পত্তি সম্পর্কে তিনি জানান, ১৯৮৯ সালে ৬৬০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ছিল তাঁর । ২০ বছর পর যাদবপুরে ১১০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। নদিয়ায় আরেকটি বাড়ি আছে বলেও জানান তিনি। তারপর তাঁর প্রশ্ন, ' নদিয়াকে কি লন্ডন অধিগ্রহণ করেছে? লন্ডনে বাড়ি থাকলে আমায় ফাঁসি দিন' । ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানির বিরতিতে মন্তব্য মানিক ভট্টাচার্যর।                                        

'কতবার লন্ডনে গেছেন মানিক ভট্টাচার্য?'

বুধবার মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ তুলে CBI এর  নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, একা সামলাতে পারছেন না দিদি। বুধবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে জানান,  এই মামলায় হেফাজতে থাকা এক প্রভাবশালী ব্যক্তির দু'টি পাসপোর্ট রয়েছে। বিচারপতি জানতে চান,'  কার দুটি পাসপোর্ট আছে? মানিক ভট্টাচার্যর?  '  উত্তরে সম্মতি জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এটা কী করে সম্ভব? এটা কী হচ্ছে? সেই সঙ্গে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ' কতবার লন্ডনে গেছেন মানিক ভট্টাচার্য? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি বলতে পারি, শুনবেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন? আমি জানি। '                      

মঙ্গলবার মানিক আদালতে দাবি করেন, ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর মামলা এখনও ওঠেনি। সূত্রের খবর, মানিকের আচরণে ক্ষুব্ধ হন বিচারক। তাঁকে তাঁকে ফের কোর্ট লক আপে পাঠানো হয়।