রুমা পাল, কলকাতা: অশান্ত মণিপুরে শান্তি (Manipur Violence) ফেরাতে এবার তৎপর গণসংগঠনগুলি। বুধবার কলেজ স্ট্রিটের মহাবোধি সোসাইটিতে শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করে ৫টি গণসংগঠন। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে, আগামী সপ্তাহে তাঁকে চিঠি দিচ্ছেন এই গণসংগঠনগুলির সদস্য়রা। 


প্রায় সাড়ে তিন মাস হতে চলল মণিপুর জ্বলছে!যে আঁচ পৌঁছেছে সংসদ অবধি! মণিপুর ইস্য়ুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। বুধবার সেই সংক্রান্ত আলোচনায় লোকসভা ঘিরে সরগরম ছিল লোকসভা। আর সেদিনই মণিপুরে (Manipur) শান্তি ফেরানোর ডাক দিল ৫টি গণসংগঠন। এদিন কলেজ স্ট্রিটের মহাবোধি সোসাইটিতে শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল এই সংগঠনগুলি। 


জন আন্দোলনের সদস্য বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিচ্ছে না। পিস কমিটির ভাবনা রয়েছে কুকি, মেইতেইদের নিয়ে। ভরসা জাগানোর জন্য়। আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেব হস্তক্ষেপের জন্য়।'


কলকাতায় বসবাসকারী মণিপুরের বাসিন্দা রোশন খুমুকচাম বলেন, 'শান্তি আনতে পারছে না। পলিটিক্য়াল বিষয় হয়ে যাচ্ছে। সাইলেন্ট থাকলে চলবে না। সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।'


এদিনের শান্তি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মণিপুরের বহু বাসিন্দা। যাঁরা এখন কলকাতায় থাকেন। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। কলকাতায় বসবাসকারী মণিপুরের বাসিন্দা গোপেশ্বর লাইসরাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী একটু বললেন। আরও বলার দরকার ছিল। মোদি এক সপ্তাহে সমাধান করতে পারতেন, করেননি। রাষ্ট্রপতিকে বলব।' কলকাতায় বসবাসকারী আরও এক মণিপুরের বাসিন্দা রোজিত সিং বলেন, '১৩ তারিখ মণিপুরে প্য়াট্রিয়টিক ডে। প্রত্য়েককে নিয়ে অনুষ্ঠান করব। শান্তি চাই।' অনুষ্ঠানে হাজির আরও একজন সৌম্য়া কিরুওয়াল্থ বলেন, 'শান্তি ছাড়া কিছু চাই না। প্রধানমন্ত্রী একটু দেখুন।'


মণিপুর নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়ছে। কিন্তু, মণিপুরের বাসিন্দারা শুধু চাইছেন, অশান্তির আগুন নিভে, দ্রুত শান্তি ফিরুক এই রাজ্য়ে। 


বুধবারই মণিপুর হিংসার ঘটনায় নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধী। হুলের মতে, রামায়ণে রাবণের হত্যা আসলে রামের হাতে হয়নি, অহঙ্কারই শেষ করে দেয় রাবণকে। রাবণও দু'জনের কথা শুনতেন, মোদিও দু'জনের কথা শোনেন বলেও দাবি করেন রাহুল। সংসদে রাহুল বলেছিলেন, 'কিছুদিন আগে মণিপুর গিয়েছিলাম। আসল সত্য হল, মণিপুর বেঁচে নেই আজ। মণিপুরকে আপনারা দ্বিভক্ত করে দিয়েছেন, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। মণিপুরে এঁরা ভারতকে খুন করেছেন।মণিপুর নয়, ভারতকে খুন করা হয়েছে। এঁদের রাজনীতি মণিপুরকে নয়, ভারতকে হত্যা করেছে।' 


এর আগে বাদল অধিবেশনের শুরুতে সংসদের বাইরে মণিপুরের ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনায় তিনি দুঃখিত বলে জানিয়েছিলেন, দোষীদের ছাড়া হবে না বলেও দাবি করেছিলেন। সেই সময়েই মণিপুরে দুই মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচারের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। তা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশ।


আরও পড়ুন:  হাতে এক কোটি টাকারও বেশি 'পে প্যাকেজ', প্রযুক্তির নাড়িনক্ষত্র জানেন আইআইআইটি-র পড়ুয়া পলক