সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ম্যাটাডোরের (Nadia Lorry Collision) সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মর্মান্তিক মৃত্যু হল চালকের পাশের আসনে বসে থাকা এক ব্যক্তির (Nadia News)। জখম হয়েছেন চালকও। ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ফুলিয়ায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাটাডোরটি কলা পরিবহণের কাজ করছিল। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ শান্তিপুর থানা এলাকার ফুলিয়ার কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতাগামী ওই ম্যাটাডোরটির উল্টো দিক থেকে একটি লরি আসে। তার পর, মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে কলা বোঝাই লরির চালকের পাশের সিটে বসা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গুরুতর জখং হন চালক। এরপর শান্তিপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আহত চালককে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতের নাম কালু শেখ বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত রাতের পথ দুর্ঘটনার ফলে দীর্ঘ সময় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান এই রাজ্যে নাগাড়ে বেড়ে চলেছে। কম-বেশি নিয়মিত এমন মর্মান্তিক খবর প্রায়ই শোনা যায়। ভয়ঙ্কর পরিণতি এড়াতে প্রশাসনের তরফে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকলেও প্রশ্ন উঠছে, তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে?
দুর্ঘটনা বার বার...
দিনপাঁচেক আগেকার কথাই ধরা যাক। মাঝরাতে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে কন্টেনারের পিছনে গ্যাসের কন্টেনার গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল ওই দিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কাঁকসা ট্রাফিক পুলিশ এবং পানাগড় দমকল বাহিনী। পুলিশ সূত্রে উঠে আসে, একটি গ্যাস কন্টেনার লরি দুর্গাপুর থেকে পানাগড়ের দিকে আসছিল, কাঁকসা থানার অন্তর্গত বিরুডিয়ার কাছে ওই গ্যাস কন্টেনার গাড়িটি অন্য একটি কন্টেনার গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় আসে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় চালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই চালককে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই দুর্ঘটনার কারণে বেশ কয়েক ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর থেকে পানাগড়গামী লাইনটি। পরে স্বাভাবিক হয় রাস্তা। বস্তুত, পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই জেলায় জেলায় দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার গোকুলপুর এলাকায় যেমন বাইক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। বাদুড়িয়া আটুরিয়া দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই তিন যুবক। রাজেশ দাস, শুভঙ্কর দাস, সহদেব দাস-সবারই বয়স বছর কুড়ির এদিক-ওদিক। বসিরহাটের ইছামতি নদীর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই তিনজন হেলমেটবিহীন অবস্থায় এক বাইকে ঘুরতে বেরোয়। গোকুলপুর এলাকায় একটি ১১ হাজার ভোল্টের লাইট পোস্টে সজোরে ধাক্কা মারে ওই বাইক। জখমদের উদ্ধার করে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:ভোটার আইডি না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট! তবে এই শর্ত মানতে হবে