দক্ষিণ ২৪ পরগনা: 'অপহরণে'র ২দিনের মাথায় বাড়ি ফিরেই বিস্ফোরক মথুরাপুরের ৪ জয়ী বিরোধী প্রার্থী। 'ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়েই বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে', শুধু তৃণমূল (TMC) নয়, পুলিশের (WB Police) বিরুদ্ধেও ভয় দেখানো ও চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।


'ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়েই বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে'


বাড়ি ফিরেই মথুরাপুরের ৪ জয়ী বিরোধী প্রার্থী বিস্ফোরক দাবি জানিয়ে বলেন, '২৭ জুলাই রাতে গান পয়েন্টে রেখে পঞ্চসায়রের ভাড়া বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। গত ২দিনে দফায় দফায় পাল্টানো হয় ঠিকানা। গোপন ডেরায় চাপ দিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়। জোর করে ভিডিও বার্তায় অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করতে বাধ্য করা হয়। পুলিশও নিজের মতো বয়ান লিখিয়ে সই করিয়ে নেয়', অপহরণের অভিযোগ ওঠার দু’দিনের মাথায়, বাড়ি ফিরে বিস্ফোরক দাবি করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার বিরোধী প্রার্থী। 


'একটি গোপন ডেরায় নিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় তৃণমূলের লোকজন'


বিরোধী প্রার্থীদের দাবি, ২৭ জুলাই রাতে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে যায়। রাখা হয় গেস্ট হাউসে। পরদিন আরও একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে চাপ দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় তৃণমূলের লোকজন। জোর করে ভিডিয়ো বার্তায় অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করতে বাধ্য করে। এর মধ্যেই সেখানে হাজির হয় পুলিশের ১৪-১৫ জনের একটি দল। পুলিশও নিজের মতো বয়ান লিখিয়ে সই করিয়ে নেয়। এমনই দাবি মথুরাপুরের চার বিরোধী প্রার্থীর। 


আরও পড়ুন, মণিপুরকাণ্ডে 'দায়ি মোদি সরকার', রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ অধীরের নের্তৃত্বে INDIA-র


ভোট ঘিরে অপহরণের ঘটনা ভুরিভুরি রাজ্যে


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের মাঝেও উত্তর দিনাজপুরে এমনই এক অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। মনোনয়ন জমা করিয়ে বেরোনোর সময় চোপড়ায় আক্রমণের মুখে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, ১০ জন কর্মী সমর্থকের নিখোঁজ হয়ে ওঠার অভিযোগ ওঠে। তবে নিখোঁজ হওয়ার ৪ ঘণ্টা পর তাঁদের সন্ধান মেলে। একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদেরকে। ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে শুধুই এবারই নয়, এর আগেও রাজ্যে একাধিক নির্বাচন-উপনির্বাচনে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। নাম জড়িয়েছিল নদিয়া জেলারও।