সন্দীপ সরকার, কলকাতা : ফের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Calcutta Medical College and Hospital) মুকুটে জুড়ল সাফল্যের পালক। প্রায় ৫ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারে (Critical Operation) এক মহিলার নাক (Nose) ও মস্তিষ্কের (Brain) মধ্যের পর্দায় থাকা ছিদ্র জুড়লেন চিকিৎসকরা (Doctors)। কার্যত নব জীবন পেলেন নেপালের এক মহিলা। আপাতত পর্যবেক্ষণে (Observation) রোগী। দ্রুত তিনি সেরে উঠবেন আশা চিকিৎসকদের।


নেপালের হলদিবাড়ির বাসিন্দা শর্মিলা রাজবংশীর বেশ কিছুদিন ধরে নাক দিয়ে ঝরছিল জল। সঙ্গে ছিল মাথা ব্যথা, দুর্বলতা। সাধারণ এই উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা বুঝতেই পারেননি সমস্যার শিকড় কতটা গভীরে। রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছমাস ধরে চিকিৎসা করেও লাভ না হওয়ায় তাঁরা আসেন শিলিগুড়িতে (Siliguri)। সেখান থেকেই রোগীকে রেফার করা হয় কলকাতায় (Kolkata)।


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর জানা যায় মহিলার নাক ও মস্তিষ্কের মধ্যের পর্দায় রয়েছে ছিদ্র। যেখান দিয়ে সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে আসছে নাকের মাধ্যমে। মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজে ৫ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বন্ধ করে ওই ছিদ্র। নতুন জীবন পেলেন বছর ৬৩-এর রোগী। আপাতত ১০ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন রোগী।


রোগীর মেয়ে মিনু সিংহ বলেছেন, 'দীর্ঘদিন সমস্যাটা ঠিক কী সেটাই ধরতে পারা যায়নি। এখানকার ডাক্তাররা ভগবান। মাকে বাঁচিয়েছেন।' আর জটিল অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান রামাণুজ সিংহ বলেছেন, 'এই ফুটোটা  বন্ধ না করলে মস্তিষ্ক সংক্রমণ ছড়াতে পারত। যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠত পারত। পায়ের ত্বকের নিচে ও মাংসপেশির ওপর থাকা আচ্ছাদন কেটে, তা ওই ছিদ্র বন্ধ করতে ব্যবহার হয় ন্যাজাল এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে।'


আরও পড়ুন- জন্মের পর পেটে ছিল না চামড়ার আস্তরণ, হাওড়ার হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে বাঁচল সদ্যোজাতর প্রাণ