বিয়ের অনুষ্ঠানের রেশ মিটতে না মিটতেই স্বামী রাজা রঘুবংশীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সোনম। মেঘালয়ে হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে পুলিশের হাতে। ঠান্ডা মাথায় স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করে সোনম। কার্যত প্রেমিক রাজ ও তার মধ্যে কোনো পথের কাঁটাকে রাখতে চায়নি সোনম। স্বামীকে মারার পরে প্রেমিককে বিয়ের সিদ্ধান্তও নেয় সোনম। জানা যাচ্ছে, সোনম নাকি তার প্রেমিককে বলেছিল, বিধবা হয়ে গেলে বাবার কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানাবে। তখন পরিবার সম্পর্কটা মেনে নেবে। এদিকে সোনমের সঙ্গে রাজের সম্পর্কের কথা মানতেই চাইছে না রাজের পরিবার। প্রথমে রাজের মা বিষয়টি অস্বীকার করেন, তারপর তার বোনও। বোনের কথায়, সম্পর্ক কী করে সম্ভব ? রাজ তো সোনমকে 'দিদি' বলে ডাকত। সম্পর্ক ছিল মালকিন - ভৃত্যের মতো।
রাজের বোন বলেন, "আমার ভাই কীভাবে তার (সোনমের) সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে পারে? সে তাকে 'দিদি' বলে ডাকত। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল একজন ভৃত্য এবং মালকিনের মতো। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিই বলুন, সম্পর্ক কীভাবে সম্ভব ?"
রাজের বোন জানান, 'আমাদের ঘরে আর কেউ রোজগেরে নেই। শুধু আমার ভাই ছিল। সে আগে উপার্জন করত। তাতেই আমাদের ঘর চলত। এখন পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেফতার করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে? আমি চাই আমার ভাই ন্যায়বিচার পাক। আমার ভাই সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার ভাই কখনওই এটা করতে পারে না। '
বোনের চাঞ্চল্যকর দাবি, রাজ কুশওয়াহা শিলং যায়নি। সে সেখানেই ছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার ভাইয়ের উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে সে কখনওই এমন কাজ করতে পারে না।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, রাজ কুশওয়াহার মাও দাবি করেন , তার ছেলে নির্দোষ। তিনি বলেন, "আমার ছেলে নির্দোষ। পুলিশ তাকে কোনও কারণ ছাড়াই তুলে নিয়ে গেছে। পুলিশ মিথ্যা বলছে। পুলিশ যা বলছে তাতে কোনও সত্যতা নেই।" তিনি আরও বলেন, 'আমার ছেলে কখনই এমন কাজ করতে পারে না। আমার ছেলের তার পরিবারের দায়িত্ব আছে, তার বোনদের দায়িত্ব আছে। আমার ছেলে পরিশ্রমী, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
রাজ কুশওয়াহার পরিবারে তার মা এবং তিন বোন রয়েছেন। করোনা কালে তার বাবা মারা গেছেন। সোনম এবং রাজের কল ডিটেইল রেকর্ড থেকে নিয়মিত কথোপকথনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে বলে দাবি পুলিশের।