রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: মিড ডে মিল খাচ্ছে ১০০ পড়ুয়া । অথচ সরকারি অ্যাপে নাম তোলা হচ্ছে ৪ গুণ বেশি । আর একদিন-দু'দিন নয়, এ কাজ হয়ে চলেছে ৭ বছর ধরে ।  মিড ডি মিলে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কাটোয়ার কৈথন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষকদের অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়ে এই হিসেবের গরমিল করেছেন প্রধান শিক্ষক নিজেই। সূত্রের দাবি, দুর্নীতির অঙ্কটা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি! যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। তবে হিসেবে গরমিল মেনে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। শুরু হয়েছে তদন্ত।    

ঘটনাটা কী 

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কৈথন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবার মিড ডে মিল নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল । ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্কুলেরই অন্যান্য শিক্ষক, পরিচালন সমিতির সদস্য এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা।  কৈথন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬০০-এর বেশি। সম্প্রতি পরিচালন সমিতির কিছু সদস্য ও গ্রামবাসীরা স্থানীয় বিডিও-র কাছে যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, দোসরা অগাস্ট মিড ডে মিল খাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৮২ জন। অথচ সরকারি অ্যাপে তা দেখানো হয়েছে ৪১০ জন। পরের দিন ১০০ ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিল খেলেও সরকারি অ্যাপে তা তোলা হয়েছে ৪৫০! এরকমভাবেই ৪-৫ গুণ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে পড়ুয়ার সংখ্যা ।  স্কুলেরই শিক্ষকদের অভিযোগ, এই দুর্নীতির দায় একমাত্র প্রধান শিক্ষকের। 

কী বলছেন প্রধান শিক্ষক 

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেও, হিসেবে গরমিল থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক অসীম মণ্ডল জানাচ্ছেন, 'এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। বিডিও অফিসে একটা ভিজিট হয়েছে। সেখানে বিডিও সাহেবের সঙ্গে কিছু কথাবার্তা হয়েছে আমার কিছু। কাগজে কিছু ভুলত্রুটি ছিল, সেগুলো সব বিডিও সাহেবের মতামত অনুসারে চলা হবে। ঠিক হয়ে যাবে। ... ওই ধরনের গরমিল কিছু নেই।'  

কী বলছেন অন্যান্য চিকিৎসকরা  

শিক্ষক সুজয় বিশ্বাসের অভিযোগ, ২০১৮-য় প্রথম ধরেছিলেন বিষয়টা। এখন ২০২৫। চলছে এই ব্যপার। অনেকটা টাকার ব্যাপার। আমরা চেয়েছি,পাইনি। সরকারি টাকা এবং বাচ্চাদের টাকা। বাচ্চাদের মুখের গ্রাস।  আরেকজন শিক্ষকের অভিযোগ, প্রতিদিন কত ছাত্রছাত্রী খাচ্ছে, যে মেসেজটা পাঠানো হয়, প্রতিদিন যে  তথ্য দিতে হয়, সেই তথ্যটাকে উনি ওনার মতো সাজিয়ে পাঠান। যেদিন উনি CL-এ আছেন, সেদিনও উনিই মেসেজ করেন।