সমীরণ পাল, ঝিলম করঞ্জাই এবং প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা:  কেউ পরে রয়েছেন নতুন অ্যাপ্রন। কারও হাতে আবার উলের গ্লাভল দেখে খুলে ফেলতে বললেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য। আজ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের স্কুলে নজরদারির সময় এরকমই নানা ছবি উঠে এল।



মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখতে, জেলায় জেলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর তাতেই রাতারাতি বহু জায়গায় মিড ডে মিল রান্না কিংবা খাবার পরিবেশনের ভোলই বদলে গেছে। কোথাও, নতুন অ্যাপ্রন পরে রয়েছেন মিড ডে মিলের কর্মী। কোথাও আবার দেখা গেল, হাতে উলের গ্লাভস পড়ে মিড ডে মিলের কাজ করছেন কর্মীরা। আর, তা দেখেই, গ্লাভস খুলে ফেলতে বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য।


আর, এখানেই প্রশ্ন উঠছে। সারা বছরই কি আদৌ মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে এরকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়? না কি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা আসবেন বলে ভোলবদল? দক্ষিণ ২৪ পরগনার, রাজবল্লভপুর রঙ্গিলাবাঁধ রামলার মেমোরিয়াল হাইস্কুলে দেখা গেল এই ছবি। হাতে উলের গ্লাভস পড়ে কাজ করছেন মিড ডে মিলের কর্মীরা। এটা দেখেই, গ্লাভস খুলতে বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।


আরও পড়ুন, চাকুরিজীবীদের স্বস্তি দিয়ে বাড়ানো হবে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা? চড়ছে বাজেট প্রত্যাশার পারদ


এই স্কুলে যেখানে মিড ডে মিলের চাল রাখা হয়, সেখানে গিয়ে দেখা গেল ঝুল রয়েছে। সেটাও দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। এর আগে, উস্তির শেরপুর রামচন্ত্রপুর হাইসকুলে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এখানেও, হাতে উলের গ্লাভস পরে, রান্না করতে দেখা যায় মিড ডে মিলের কর্মীদের। যদিও তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সারা বছর একরম ভাবেই কাজ করে। এই গ্লাভসই দেওয়া হয় তাঁদের। মিড ডে মিলের নোডাল টিচারের কথায়, ব্লক থেকে আমাদের এগুলোই দেওয়া হয়েছে, তাই আমরা এগুলোই দিই।                               


অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসপুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে আবার ধরা পড়েছে বেনিয়মের ছবি। এখানে, ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে ৫ জনের বেতন। এই বিষয়ে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিক বলেন, পড়ুয়ার সংখ্যার নিরিখে  মিড ডে মিলের কর্মী সংখ্যা ঠিক করা হয় এবং দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বনির্ভরগোষ্ঠীকে। কাজ তাড়াতাড়ি করার জন্য, এরপর তারাই ঠিক করে, ৫ জনের জায়গায় ৭ জনকে দিয়ে কাজ করাবে কি না।


বুধবার, মালদায় যেতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।