সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: SSC দুর্নীতিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন মিডলম্যান (Middleman) প্রসন্নকুমার রায়। প্রদীপ সিংয়ের মারফত তা পাঠানো হত SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হার কাছে। মিডলম্যানদের জেরায় মিলেছে এই তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের (CBI)।         


সূত্রে খবর, জেরায় জানা গিয়েছে, গাড়ি ভাড়া নেওয়ার সূত্রেই SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় প্রসন্ন রায় ও তাঁর সংস্থার কর্মী প্রদীপ সিংয়ের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে তা প্রদীপের মারফত শান্তিপ্রসাদ সিন্হার কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন। SSC দুর্নীতিকাণ্ডে মেল চালাচালির জন্য ব্যবহার করা হত প্রসন্নর সল্টলেকের কার রেন্টাল অফিসের কম্পিউটার। 


আরও পড়ুন, 'বিজেপিতে কয়েকটা বাঁদর আছে, দিলীপ ক্লাস এইট পাশ, ফিটার মিস্ত্রি', ফের বিস্ফোরক সৌগত রায়


অন্যদিকে, নিউটাউনের বিভিন্ন অভিজাত আবাসনে রয়েছে প্রসন্নকুমার রায়ের একাধিক ফ্ল্যাট। সিবিআই সূত্রে দাবি। নারকেলডাঙার টালির চালের ঘর থেকে প্রথমে বলাকা আবাসনের যে ফ্ল্যাটে উঠেছিল প্রসন্নর পরিবার, সেই ফ্ল্যাট এখন তালাবন্ধ। কার রেন্টালের ব্যবসা করে টালির চালের ঘর থেকে কীভাবে এই বিপুল সম্পত্তি তৈরি করলেন প্রসন্ন? সেটাই এখন সিবিআইয়ের নজরে।       


এদিকে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নকুমার রায়ের নিউটাউনের বলাকা আবাসনে মায়ের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে। আবাসনের অফিসের কর্মীর দাবি, প্রসন্নর সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে আবাসনের পুজোয় এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবছরও আবাসনের পুজোর সম্পাদক হয়েছেন প্রসন্ন। দাবি আবাসনের অফিসের কর্মীর।                                          


সিবিআই সূত্রে দাবি, SSC-র নিয়োগে এরা দু’জন মিডলম্যান হিসেবে কাজ করত। প্রদীপের মতো প্রসন্নর বিরুদ্ধেও অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ-কর্তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রসন্নর অফিস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে প্রসন্নকে। দুই মিডলম্যানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই, খবর সূত্রের।