গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মালদার (Malda) পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana)। ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant)। বাড়ি তৈরির ঋণ মেটাতেই গিয়েছিলেন গুজরাতে। সেখানেই ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় পরিযায়ী শ্রমিকের। রাজ্যে কাজ না থাকায়, বাইরে যেতে হয়েছিল, আক্ষেপ করছেন মৃতের পরিজনেরা। 


পেটের টানে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আর ফেরা হল না ২১ বছরের তরতাজা তরুণের। ফের প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করতে হল রাজ্যের আরও একটি পরিবারকে। শোকের সঙ্গে মিশে রয়েছে আক্ষেপ। বাড়ির ছোট ছেলেকে কাজে পাঠিয়ে এ হেন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। 


সুজিত জানা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সাগরের মহেন্দ্রগঞ্জের বাসিন্দা। উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary) পাসের পর, বছরখানেক আগে গুজরাতের মুন্দ্রায় পাড়ি দেন সুজিত। বন্দরে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। মঙ্গলবার পণ্য ওঠানোর সময়, ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় পরিযায়ী শ্রমিকের। রাজ্যে কাজ নেই। তাই অভাবের সংসারের হাল ধরতে ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন সুজিত। এমনই দাবি তাঁর পরিবারের।


এর আগে , ২৩ অগাস্ট মিজোরামের আইজল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে, সাইরাং এলাকায়, ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ রেল সেতু। মৃত্যু হয় বাংলার ২৩ জন শ্রমিকের। সকলেই মালদার বাসিন্দা।                                                      


মালদার শ্রমিকের প্রাণহানী: মিজোরামে সেতু-বিপর্যয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই পরপর দুর্ঘনায় প্রাণ হারালেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এর আগে ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ যায় মালদার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত তরুণের নাম ছিল ছোটু মোমিন। মানিকচকের এনায়েতপুরের বাসিন্দা ২১ বছরের মোমিন মাসদুয়েক আগে অসমের জোড়হাটে রেলের টাওয়ার বসানোর কাজে যান। পরিবারের দাবি, টাওয়ারে উঠে ওভারহেড তার লাগানোর সময় ওই শ্রমিক পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এখানে কাজ না পেয়েই বাইরে যেতে হয়েছিল বলে দাবি করেছে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। এর আগে মিজোরামের আইজলে রেলের সেতু নির্মাণে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় মালদার ২৩ জন শ্রমিকের।