কলকাতা: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। যদিও এখনও পর্যন্ত ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী (CM)। গতকাল মিমি বলেন, 'যতবার পার্লামেন্টে গেছি, যতবার গড়িয়ার ডাবল ব্রিজ নিয়ে, চম্পাহাটি ব্রিজ নিয়ে, সোনারপুরের ফ্লাইওভার নিয়ে - যতবার কথা বলেছি, কিন্তু, ওই হয় না যে রাজ্যের কথা তো ওনারা শোনেন না। আমার মানুষের সেই পরিষেবাটাও পায়নি, কিন্তু মানুষ তো সেটা বুঝছে না যে পরিষেবাটা সেন্ট্রাল ফান্ডটা দেয়নি, সেন্ট্রাল জায়গাটা অ্যালাউ করেনি বলে, সেটা পায়নি। মানুষ ভাবে আমার এমপি আমাকে পরিষেবা দিতে পারেনি।' এদিকে ২৪ ঘণ্টা পেরোতেই, সাংসদ পদে থেকে কী কাজ করেছেন, এনিয়ে আজ সোশ্যাল পোস্টে যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, 'মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।'


 এদিন তিনি ফেসবুক পোস্টে যাবতীয় কাজের খতিয়ান দিয়ে লিখেছেন, 'আমি মিমি চক্রবর্তী। আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময়, অভিনয় জগৎ থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের এক সাংসদ রূপে যতোটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্য করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে  এগিয়ে গিয়েছি..।'  



মিমিকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? এটা এই মুহূর্তে সবথেকে বড় প্রশ্ন। কারণ সদ্য যখন তৃণমূল সাংসদ দেব-র পাশে থাকার বড়সড় বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।  আর এখানেই প্রশ্ন,মিমির ইস্তফাপত্র তো এখনও গ্রহণ করেননি মমতা। তাহলে কি কোনও কিছু অপেক্ষা করছে এবারেও ?এপ্রসঙ্গে মিমি বলেন,' আমার সুপ্রিমোকে যেটা বলার, আমি সুপ্রিমোকে সেটা বলেছি। উনি তো বাচ্চার মতোনই ট্রিট করেন। খুবই ভালবাসেন। খুবই স্নেহ করেন। ডেফিনেটলি আপনারা ঠিকই শুনেছেন, আমি ইতিমধ্যেই আমার ইস্তফাপত্র তাঁর হাতে তুলে দিয়েছি। দু-দিন আগে দেওয়া হয়েছে।' মিমির সংযোজন, 'আর যদি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলার থাকত, তাহলে অনেকদিন আগেই বলে দিতাম।'


আরও পড়ুন, 'সন্দেশখালি নিয়ে এত মাতামাতি, আমাদের যখন..', বিস্ফোরক অভিষেক


লোকসভা ভোটের আগে সাংসদদের কাজ যখন উঠে আসছে বারবার বিরোধীদের স্ক্যানারে, ঠিক তখনই আজ ফেসবুকে যাবতীয় কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন তিনি। আর সোশ্যাল পোস্টের একেবারে শেষে আবেগঘন হয়ে বললেন, 'কুছ তোহ্ লোগ কহেনগে, লোগো কা কাম হে ক্যহেনা..।'