রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: গত ২৩ এপ্রিল, বিধ্বংসী আগুন লাগে বিধাননগরে ফাল্গুনী আবাসন সংলগ্ন ঝুপড়িতে। বুধবার, সেই পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শন করলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বাসিন্দাদের নতুন বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেই কথা মতোই এদিন পুজো দিয়ে কাজ শুরু হল।


সল্টলেকে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি পরিদর্শনে সুজিত বসু


২৩ তারিখ সন্ধে সাড়ে ৭ টা নাগাদ সল্টলেকের ফাল্গুনী বাজার সংলগ্ন ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও  বিধাননগর পৌর নিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই সুজিত বসু জানিয়েছিলেন, পুড়ে যাওয়া বস্তির বাসিন্দাদের জন্য ওই স্থানেই নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই মতো বুধবার বিকেলে দমকল মন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু ফের ঘটনাস্থলে যান। ওখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। যেমন বলেছিলেন সেই অনুযায়ী পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করার কাজ শুরু করে দেন। মন্ত্রী নিজেই পুজো দিয়ে এই কাজের শুভ সূচনা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে দুই যুবতীর ৩ মে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের ফলে তাঁদের সমস্ত জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তাঁদেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী সুজিত বসু।


সুজিত বসুর কথায়, 'আমাদের সরকারের পলিসি হচ্ছে, যদি মানুষের কোনও ক্ষতি হয় সেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের সাহায্য করা। এখানে গরিব মানুষের বাড়ি পুড়ে গেছে। এখানকার বিধায়ক হিসেবে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়েছি ওঁদের ঘরগুলো যেমন ছিল তেমনই তৈরি করে দেব। সম্ভব হলে তার চেয়েও ভালই বানিয়ে দেব। সরকারের পক্ষ থেকে যা অনুদান সেটা ডিএম-কে বলেছি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যা আসে সেটা তাঁরা পেয়ে যাবেন। রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা করে সরকার দিচ্ছে। রূপশ্রীতে দু'জনের বিয়ে আছে শুনেছি, দু'জনেই রূপশ্রীর টাকা পাবে। সেই সঙ্গে যদি আরও টাকা লাগে আমরা ব্যবস্থা করে দেব। মেয়েদের বিয়ে যাতে কোথাও না আটকায় সেটা আমরা দেখে নেব। বিয়ে যেমন হওয়ার কথা ছিল সেভাবেই হবে।'


আরও পড়ুন: Howrah: হাওড়া আদালতের বিচারকের সই জাল করার অভিযোগে গ্রেফতার এক মুহুরি


গত ২৩ তারিখ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থাকেন এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। মুহূ্র্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসীরা। পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ৫০ টি ঘর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এর জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গোটা এলাকায়।