সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মন দিয়ে কোনও কাজ করছেন আপনি। আর তখনই মোবাইলে ঢুকতে শুরু করল একের পর এক মেসেজ! একসঙ্গে অনেকগুলো মেসেজ! কৌতূহলের বশে তার কোনও একটাতে ক্লিক করে বসলেন। সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য ভুলে ঘটতে পারে বড় বিপদ।


ঘন ঘন রূপ বদলে ত্রাস তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। সাইবার জালিয়াতরাও যেন সেই ধুরন্ধর ভাইরাসেরই পন্থা অবলম্বন করছে। সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিতে প্রায়ই সামনে আসছে তাদের নিত্যনতুন ফন্দি। 


যার একটি হল ‘টেক্সট মেসেজ ব্লাস্ট’। শুধুমাত্র পোশাক বদলে অপরাধের নয়া পন্থা হাজির। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে কম করে ১০ থেকে ১৫টি টেক্সট মেসেজ প্রতারকরা পরপর মোবাইলে পাঠাতে থাকে। কখনও কখনও আবার একসঙ্গে ১০০টা মেসেজও পাঠানো হয়। এক যোগে এত মেসেজ পাঠানো হয় বলে সাইবার বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন ‘টেক্সট মেসেজ ব্লাস্ট’ বা মেসেজ বিস্ফোরণ।                                


কীভাবে হয় এই ‘মেসেজ বিস্ফোরণ’?


সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এধরনের মেসেজ ব্লাস্টের অ্যাপলিকেশন বা অ্যাপ পাওয়া যায়। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে, নিজের মতো করে কনটেন্ট লিখে একসঙ্গে অনেক ব্যক্তিকে পাঠানো যায়। তবে এই অ্যাপগুলি প্লে-স্টোরে পাওয়া যায় না। 


‘টেক্সট মেসেজ ব্লাস্ট’ পদ্ধতির মাধ্যমে কীভাবে প্রতারণার জাল বিছোয় জালিয়াতরা?


কখনও আইটি রিটার্নের নামে, কখনও ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাফিকের নামে, কখনও আবার অ্যাপ নির্ভর অনলাইন বিপণনী সংস্থার নামে একসঙ্গে পরপর SMS পাঠিয়ে, সাধারণ মানুষকে ধন্দে ফেলে দেয় প্রতারকরা। কোনও কোনও মেসেজে আকর্ষণীয় অফারের কথা জানিয়ে নীচে লিঙ্ক দেওয়া হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিঙ্কে ক্লিক করলেই মোবাইল অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।                   


সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, "ট্রাফিকের ফরম্যাটে, ইনকাম ট্যাক্সের ফরম্যাটে আসছে। এসব আসতেই থাকলে ইন্টারনেট ডেটা অফ করে দিন। ফোন সুইচড অফ করবেন না। কোনও গিফট মেসেজের ফাঁদে পা দেবেন না। হাইপার টেক্সট লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।" তাই মোবাইলে একসঙ্গে গুচ্ছ গুচ্ছ মেসেজ ঢুকলেই সাবধান হোন।