মোমিনপুর: মোমিনপুরকাণ্ডে সিট গঠন করল হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গঠন সিট। কী কী কাজ করবে সিট? আদালতের নির্দেশ, ‘অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ, তাদের উদ্দেশ্য জানতে পদক্ষেপ করবে সিট। পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পদক্ষেপও করবে সিট। অন্যদিকে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পুলিশ পিকেট থাকবে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য, যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে রাজ্য। স্থানীয় মানুষকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, ‘এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই’।


আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ: মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনায় গতকালই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীর। আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তর আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। মোমিনপুরকাণ্ডে আগামীকাল শুনানির সম্ভবনা।।


আটক সুকান্ত মজুমদার: ঘটনার দিন মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে পুলিশ। এ দিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয় সুকান্ত মজুমদারের। শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। বালুরঘাটের সাংসদ মোমিনপুরে যাচ্ছিলেন কী করতে? প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি: মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শা-র কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি বিরোধী দলনেতার। চিঠিতে একবালপুর থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, উনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন কেন, প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।


ঘটনার প্রেক্ষাপট:  শনিবার রাতে ঘটনার সূত্রপাত মোমিনপুরে। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে শুরু হয় বোতল ছোড়াছুড়ি। দু’পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টিও হয়। শনিবার রাতের পর, গতকাল দুপুরে ফের উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা।  পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র‍্যাফ। 


খাস কলকাতার বুকে মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত কি ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা NIA করবে? এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার তাঁর নির্দেশে জানিয়েছে, রাজ্যের রিপোর্ট এবং মামলার গুরুত্ব বুঝে NIA তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।এর পাশাপাশি, মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের DGএবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে SIT গঠন করা হয়েছে।