ঋত্বিক প্রধাণ, এগরা :  খাদিকুলে বিস্ফোরণকাণ্ডের ৬ দিনের মাথায়, এগরা থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হল। সোমবার সকালে সাহাড়া অঞ্চলে দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাড়া গ্রামে মাঠের মাঝখানে পুকুরে ৬টি বস্তা ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


এগরা থানার পুলিশ গিয়ে বস্তাভর্তি আতসবাজি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে। ১৬ মে, খাদিকুলে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণস্থল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সোমবার আতসবাজি ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। খাদিকুলে বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে এগরা থানার পুলিশ।                       


খাদিকুলে বীভৎস বিস্ফোরণ প্রাণ কেড়েছে অনেকের ।  এগরার খাদিকুলে  ( Khadikul ) এখনও কান পাতলেই স্বজনহারার হাহাকার! স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta Highcourt )  বিচারপতিও বিস্ফোরণকাণ্ডের ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন! এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরণ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা উঠেছে তুঙ্গে।  এগরায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের রেশ এখনও কাটেনি। ঘটনার পরপরই এগরার জামগাঁ গ্রামে একটি পরিতক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়  বিপুল পরিমান বারুদ।        


এগরার ঘটনায় এত মানুষের প্রাণ যাওয়ার পর হুঁশ  ফেরে পুলিশের। তারপর  জেলায় জেলায় চলে বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি তৈরির কারবার চলছে? তার খোঁজে চণ্ডীতলা, খানাকুল-সহ হুগলি জেলার আনাচেকানাচে হানা দেয় পুলিশ। তারই মাঝে ঘটে গেল বজবজের ঘটনা। এগরাতেও ফের উদ্ধার হল বিস্ফোরক।                 


গত সপ্তাহে এগরাকাণ্ডের পর রবিবার বজবজে বেআইনি বাজি ফের কাড়ে প্রাণ। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজ।  বিস্ফোরণের পর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বস্তা বস্তা বাজি। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। বারুদের স্তূপে বাংলা, একযোগে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূল অবশ্য প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। কিন্তু প্রাণ যাওয়া থামছে কই।                       


এগরার বিস্ফোরণের তিন দিনের মাথায় ওই এলাকারই কামারডিহায়, পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বারুদ। তার দু দিনের মধ্যেই, বজবজে ঘটে গেল আরেক বিস্ফোরণ! কবে সচেতন হবে প্রশাসন? কবে ঠেকানো যাবে মৃত্যুমিছিল?