এগরার পর বজবজ, ৫ দিনের ব্যবধানে ফের বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে লাগাতার কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
এগরার পর এবার বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডেও NIA তদন্ত দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘খাদিকুল গ্রামে পোড়া মাংসের গন্ধ আর বিস্ফোরকের অবশিষ্টাংশ এখনও বাতাসে ভাসছে। আহতদের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সেই রেশ মেলানোর আগেই বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় আরও একটা বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এটা পুনরাবৃত্তি মনে হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রেও আমি NIA তদন্ত চাইছি । মুখ্যমন্ত্রী, আপনি ঘুম থেকে উঠে পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন? আর কত মৃত্যু আপনার বিবেককে নাড়া দেবে?’ বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডে ট্যুইট বিরোধী দলনেতার।
আরও পড়ুন- বেআইনিভাবে মজুত বাজিতে আগুন, ভস্মীভূত বাড়ি, মৃত ৩
রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ, একটি বাড়ির ছাদে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভেঙে পড়ে অস্থায়ী ছাউনি। তাতেই চাপা পড়েছিলেন তিনজন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই এলাকায় পৌঁছন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার ASP অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বজবজ ও মহেশতলা থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে, এলাকা থেকে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
বজবজে বিস্ফোরণের পর ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। গাড়ি আটকানোর পাশাপাশি, ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা।
এলাকায় পুলিশের দেখা মেলেনি। ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বাজির ব্যবসা করছেন। এটাই তাঁদের রুজি-রুটি। এভাবে ধরপাকড় চললে তাঁরা পথে বসবেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকালের ঘটনার পর মহেশতলা, বজবজ এলাকায় হানা দিয়ে ২০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে। বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ।
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা, সমাধান পাবেন এইসব সমস্যা থেকে