জয়েনিং রিপোর্টই গ্রহণ করলেন না রাজ্যপাল:
কমিশনারকে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার পরে চরম পদক্ষেপ রাজ্যপালের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্টই গ্রহণ করলেন না রাজ্যপাল। তাহলে কি আর পদে থাকতে পারবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার? ভোটে অবাধে সন্ত্রাস, রুখতে না পারায় কড়া পদক্ষেপ রাজভবনের? বেলাগাম সন্ত্রাসের পরে আলোচনার জন্য না আসার পরেই পদক্ষেপ, খবর সূত্রের।  রাজীব সিন্হার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল। কমিশন নিয়ে হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের মধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ রাজ্যপালের। আলোচনার জন্য শনিবার রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কমিশনারকে। ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে শনিবার রাজভবনে যাননি রাজীব সিন্হা। জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান, তাহলে কি আর বৈধ রইল কমিশনারের নিয়োগ? রাজ্য নির্বাচন কমিশনারেরই জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান, প্রশ্নে ভোটের ভবিষ্যৎ।


বাহিনী নিয়ে গাইডলাইন:
হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) নিয়ে বিরামহীন আইনি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। তবে, কোথাও কোনও সুরাহা পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB Elections Commission) ও রাজ্য সরকার (Panchayat Elections 2023)। এবার বাহিনী নিয়ে কমিশনকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।


কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্দেশ:
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরদিন হাইকোর্টে আরও জোরাল ধাক্কা খেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নামমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর কমিশনের 'কৌশল' পুরোপুরি খারিজ করে দিল আদালত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় মোতায়েন করার জন্য কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কত সংখ্যক বাহিনী চাইতে হবে, তাও নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিল আদালত। নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতি বলেন, সব জেলায় যথেষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রিক্যুইজিশন পাঠাবে এবং যত সংখ্যক কোম্পানি বা ব্যাটেলিয়নের জন্য রিক্যুইজিশন পাঠানো হবে, তা ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটের থেকে কোনওভাবেই কম হবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশ সঠিকভাবে কার্যকর করার চেষ্টা না করলে, তার ফল ভুগতে হবে। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।  অর্থাৎ এবার, তার চেয়েও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বড় ধাক্কা খেল রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরাল হল। শুক্রবার, ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।


মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ:
কোথাও বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমাই দেননি, কোথায় মনোনয়ন দিলেও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভোটের আগেই জেলায় জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাধিক আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আবির খেলে, বাইক মিছিল বের করে চলল বিজয় উৎসব। 


তদন্তে CBI:
নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগে এবার তদন্ত করবে CBI. উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের ২ সিপিএম প্রার্থীর নথি বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে বিডিওর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বুধবার এমনই নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। ৭ জুলাই অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন এই মামলায় সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 


বাসন্তীতে অশান্তি:
রাজনৈতিক অশান্তি (Political Violence) ঠেকাতে গিয়ে পুলিশকর্মীর (Police Personnel) আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল বাসন্তীতে (Basanti)। অভিযোগ, বাসন্তীর কলতলায় তৃণমূল প্রার্থীর মিছিলে (TMC Rally) হামলা চালান নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরা। সেই হামলা ঠেকাতে গিয়েই আক্রান্ত হন বাসন্তী থানার এক পুলিশকর্মী। জখম এএসআই-র নাম রঞ্জন দে। আহত হয়েছেন এক তৃণমূলকর্মীও।


কবচ নিয়ে প্রশ্ন রেলমন্ত্রীর:
দুর্ঘটনার পরদিন বালেশ্বরে (Balasore Train Accident) গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamta Banerjee) বলেছিলেন, 'কবচ' প্রযুক্তি (Kavach Technology) থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। বুধবার কলকাতায় এসে কবচ ইস্যুতে সুর চড়ালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ( Ashwini Vaishnaw)। প্রশ্ন তুললেন, ২০১৪-র আগে অবধি যারা রেল মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন, তারা কি করেছিলেন? পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। 


কমিশনের নির্দেশ:
বেসরকারি স্বাস্থ্য় পরিষেবায় নজর স্বাস্থ্য কমিশনের। নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিল কমিশন। বুধবার একটি বৈঠক হয়। সেখানে বার্তা দেওয়া হয়, টাকার জন্য দেহ আটকে রাখা যাবে না। ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হওয়া মাত্রই ছেড়ে দিতে হবে মৃতদেহ। যদি বিল সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে দ্রুত স্বাস্থ্য কমিশনকে জানাতে হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংক্রান্ত বিষয়েও একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


মোদি মিত্র শংসাপত্র:
কর্নাটক নির্বাচনের পর মাত্র ১০ রাজ্যে একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে দল। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) আগে তাই কোনও খামতি রাখতে নারাজ বিজেপি (BJP)। এবার সংখ্য়ালঘুদের কাছে টানতে উদ্যোগী হল বিজেপি শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রশংসকদের বিশেষ শংসাপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত নিল দলের সংখ্যালঘু শাখা (BJP Minority Cell)। বিগত ন'বছরে মোদি সরকার কী কাজ করেছে, সেই খতিয়ান নিয়ে সংখ্যালঘু দল এবং সংগঠনগুলিকে পাশে পেতে এগোচ্ছে বিজেপি। জায়গায় জায়গায় চলবে প্রচার অভিযান। উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে গড়ে তোলা হবে সংযোগ। তাতে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং কাজে সমর্থন জানাবেন যাঁরা, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে 'মোদি মিত্র' শংসাপত্র (Modi Mitra)।


মোদি-বাইডেন সাক্ষাৎ:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। বাইডেনের হাতে উপহারস্বরূপ একটি চন্দন কাঠের বাক্স তুলে দিয়েছে মোদি। রাজস্থানের জয়পুরের দক্ষ শিল্পীরা তৈরি করেছেন সেটি। চন্দন কাঠ এসেছে কর্নাটকের মাইসোর থেকে। তাতে রয়েছে নানা রাজ্যের শিল্পীদের তৈরি করা নানা উপহার।