কলকাতা:  করোনা সংক্রমণ (Coronavirus Situation) বাড়ছে, কমছে না মৃত্যুর সংখ্যা। ২৭ ফেব্রুয়ারির পুরসভার নির্বাচন (Municipal Election 2022) ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক। দাবি রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। পাল্টা বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, কলকাতার ফল দেখে আতঙ্কিত। অস্তিত্বহীনতার ভয়ে ভোট পিছনোর কথা বলছে রাজ্য বিজেপি। 


২২ জানুয়ারি বিধাননগর , চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোল এই চার পুরসভার (Municipal Election) ভোট হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে হাজারো তরজা ও হাইকোর্টে আইনি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চার পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে চার পুরসভার ভোট।  রাজ্য সরকারের তরফে সায় মেলার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)। বাংলায় ভয়ঙ্কর করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যায় চার পুরসভার ভোট। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোট গণনা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। 


বামেদের তরফ থেকে আগেই কমিশনের কাছে একইদিনে সব পুরসভার গণনার আর্জি জানানো হয়েছে। রাজ্যে শতাধিক বকেয়া পুরভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি করাতে চেয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এদিন বলেছেন, ‘ পুরভোটের ভোটগণনা একদিনে হোক। চারটি পুরসভার নির্বাচন ও ১০৮টি মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচনের গণনা একদিনে হোক। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট পিছনো হোক। কাল রাজ্য নির্বাচনের কাছে দাবি জানাবে রাজ্য বিজেপি।’


এ ব্যাপারে তৃণমূল বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূল বলেছে, কলকাতা পুরসভার ভোটের ফলের পুণরাবৃত্তি হবে হাওড়া সহ অন্যান্য পুরসভাতেও। মানুষ এখন বিজেপির চেয়ে সিপিএমকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাকেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বিজেপি।


উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটে প্রাপ্ত ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে বামফ্রন্ট। সেই প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।