সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট আগামী রবিবার। শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ভোটারদের মাংস বিলি করে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ার বিজেপির বিধায়ক তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী ভোটারদের মধ্যে মুরগির মাংসের প্যাকেট বিলি করেছেন।


যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিজেপি প্রার্থী, যাঁর ডাক নাম কাল্টু, তাঁর কর্মীরা এসে মাংসের প্যাকেট দিয়ে গেছেন। ওই এলাকার বাসিন্দা বীণা মাহাতোর কথায়, “কাল্টুদা মাংস দিয়ে গেছে।’’ ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নব্যেন্দু মাহালি বলেন, “আমার কাছে খবর আছে, মাংস বিলি করে বলছে, ফিস্ট করো।  আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাব।  যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী। সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার কী অত টাকা আছে নাকি, যে আমি মাংস বিলি করব।‘’


এদিকে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইলেন (Municipal Election 2022) বিজেপি প্রার্থী। প্রচারের তপ্ত আবহে এই গাঁধীগিরি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি প্রার্থীর প্রচারেই মাংস বিলি নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। পুরভোটের প্রচারে যখন বিভিন্ন দলের প্রার্থীর মুখে পরস্পরের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ, ঝাঁঝালো মন্তব্যের খই ফুটছে, তখন ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল পুরুলিয়ায়। গাঁধীগিরির উদাহরণ তুলে ধরলেন বিজেপি প্রার্থী।  সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইলেন তিনি। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।  এই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। আর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নব্যেন্দু মাহালি। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খেজুরাডাঙায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে ভোটের প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন নব্যেন্দুর মা শঙ্করী মাহালি।  তাঁর কাছেই তাঁকে সমর্থনের আবেদন করেন বিজেপি প্রার্থী। শঙ্করী জানান, তাঁর ছেলেই এই ওয়ার্ডে প্রার্থী। পরে বিজেপি প্রার্থী জানান, সৌজন্যের কারণেই তাঁর এই পদক্ষেপ।


সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি গিয়েছিলাম, সৌজন্য দেখাতে। ভোট চাইতে গিয়েছিলাম। ওই বাড়ির সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক আছে। আমি গিয়ে বললাম, মাসিমা, আমি আপনার ছেলের মতো।’’ তৃণমূল প্রার্থীর মায়ের কথায়, “উনি এসেছেন, ওঁর সৌজন্য। আমার ছেলেও তো দাঁড়িয়েছে। নিজের ছেলেকেই তো ভোটটা দেব।  আমার ছেলেও তো অনেক দিন রাজনীতি করছে। ও তো এমপি, এমএলএ-তে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। টিকিটি পায়নি।  ছেলেই যখন দাঁড়িয়েছে, তখন ওকেই ভোটটা দেব।‘’


আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: ১০৮টি পুরসভার ভোটের আগে শেষ রবিবারে জমজমাট প্রচারপর্ব