কলকাতা :  বাংলার ভোটে সন্ত্রাসের সেই ভয়ঙ্কর  চেনা ছবিটা গতকালের নির্বাচনেও (Municipal Election) বদলায়নি। দিকে দিকে আক্রান্ত হন বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্টরা রক্তপাতও হয়। গুলি-বোমা চালানোর অভিযোগ ওঠে।  কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হন।  নানা জায়গায় গণতন্ত্রের উৎসবে এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা যায়।  রাজ্যে ১০৮ টি পুরসভার ভোটে গতকাল প্রায় ১১ হাজার বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।  কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (West Bengal Election Commission) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাত্র ২টি বুথে পুনর্নির্বাচন (Repoll) হবে।  শ্রীরামপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ দমদমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফের ভোট হবে। কাল মাত্র এই ২টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের ।  রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে খবর সূত্রের। 


পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ, রাজ্যপালের তলবে রাজভবন যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সকাল ১০টার সময়ে রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ রাজভবনে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।


সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে  রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন, ‘কেন ভাঙা হল ইভিএম? কেন প্রার্থীরা আক্রান্ত? কেন ভোট দিতে পারলেন না সাধারণ মানুষ?’


সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলেন,  ‘যেখানে সন্ত্রাস হয়েছে, সেখানে পুনর্নির্বাচন করা হোক।’


সূত্রের খবর,  ‘জেলা শাসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে  রাজ্যপালকে জানিয়ে আসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 


এরপরই কমিশন কাল মাত্র দুটি আসনে পুণনির্বাচনের কথা জানায়। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছে বিরোধীরা। 


গতকালের ভোটে যেন ফিরে আসে ২০১৫-র পুরসভা ভোটের সেই ছবি। কিংবা ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সেই ভয়াবহতা। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সাম্প্রতিককালে একের পর এক তৃণমূল নেতা-মুখপাত্র আশ্বাস দিয়েছিলেন, যে ঘটনা আগে ঘটেছে, আর হবে না। সম্প্রতি যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কার্যত সতর্ক করেছিলেন, আরেকবার ২০১৮ হলে আরেকটা ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা। আরেকটা ২০১৮ হলে কিন্তু বারবার সবটা ২০২১-এর মতো হবে না।কিন্তু, তারপরও ১০৮টি পুরসভার ভোটে দেখা গেল এই ছবি।