বিধাননগর: পুরসভা নিরবাচনে ভোটগ্রহণ মিটে গিয়েছে বকেয়া কেন্দ্রগুলিতে (WB Municipal Polls 2022)। কিন্তু তাকে ঘিরে অশান্তি থামার নাম নেই। রবিবার থেকেই শহরে বিক্ষোভে নেমেছিল বিজেপি। শাসকদলের বিরুদ্ধে গায়ের জোরে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছিল তারা। সেই নিয়ে সোমবারও উত্তপ্ত রইল রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বিধাননগরে রেললাইনের উপর বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। 


পুরভোটের নামে তৃণমূল ((TMC) সন্ত্রাস চালিয়েছে রাজ্য জুড়ে, গুন্ডা নামিয়ে ভোট করিয়েছে বলে গতকাল থেকেই অভিযোগ তুলে আসছেন বিরোধীরা। এ দিন তাকে ঘিরে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। বিধাননগরে (Bidhannagar News) তাদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার দেখা দেয়। সেই সময়ই টায়ারে আগুন ধরিয়ে রেললাইনের উপর ফেলে দিয়ে বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এমনকি ট্রেনও আটকানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে (North 24 Parganas News)। 


পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে রবিবারই রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি। তার পর সোমবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। সেই নিয়ে দিনভর উত্তেজনা বজায় ছিল।  ১২ ঘণ্টার বনধ সফল করতে এ দিন জায়গায় জায়গায় রাস্তায় নামেন বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা। বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বিজেপি কর্মী রা পিকেটিং করেন। চ্যাংদোলা করে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।


আরও পড়ুন: Bangla Bandh: বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক ধরপাকড়, বিজেপির ডাকা বনধে উত্তেজনা বালুরঘাটে


বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভের পর, বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড়ে ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধও করে গেরুয়া শিবির। তাতে সামিল হন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে পুলিশে সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার পর, জেলাশাসকের দফতরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি।


এ ছাড়াও, বিজেপি-র পথ অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে শিলিগুড়িতেও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।  শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে সফদর হাসমি চকে বসে পড়েন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।  গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েক জনকে।