বিশ্বজিৎ দাস, (খড়্গপুর), পশ্চিম মেদিনীপুর: রাজ্যে পুরসভা ভোটের (Municipal Election) আগে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের কারণে বিভিন্ন পুরসভাতেই নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধরা। নির্দল-কাঁটা সরাতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বেশ কিছু নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কারের পথে হেঁটেছে তৃণমূল।  এরইমধ্যেও বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) খড়্গপুরে (Kharagpur)। বিজেপির (BJP) শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ রাকেশ কুমার নাহার সহ প্রায় ১০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক সোমবার যোগদান (Joining) করলেন তৃণমূলে। 


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডি. বাসন্তীর নির্বাচনী সভায় তৃণমুল প্রার্থীর উপস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার হাত ধরে বিজেপির শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ সহ প্রায় ১০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা, রাজ্য তৃণমূল সদস্য প্রদ্যুৎ ঘোষ সহ খড়গপুর শহর তৃণমূল নেতৃত্ব।


এরইমধ্যে সংসারের হাজারো খুঁটিনাটি সামলে ভোটের ময়দানে নেমেছেন খড়গপুরের ২ বিজেপি প্রার্থী। কেউ চায়ের দোকান সামলে প্রচার সারছেন। কেউ খবরের কাগজ বিক্রেতা স্বামীর সাইকেলে চড়েই করছেন প্রচার। জয় নিয়ে আশাবাদী দুজনেই।


কথায় বলে যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সেভাবেই সংসারের হাজারো খুঁটিনাটি সামলে ভোটের ময়দানে নেমেছেন খড়পুরের মহুয়া যাদব ও পিঙ্কি পাত্র। খড়গপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চা বিক্রেতা মহুয়া যাদবকে এবার প্রার্থী করেছে বিজেপি।প্রার্থী হয়েছেন, কিন্তু রোজকার অভ্যেসে ছেদ পড়েনি মহুয়ার। সকাল সকাল দোকানে না এলে সংসার চলবে কীভাবে? তাই চা তৈরি করে হাতে তুলে দেওয়ার সময়ই সেরে নিচ্ছেন ভোটপ্রচার। 


স্বামী রোজ সকালে বাড়িতে বাড়িতে খবরের কাগজ পৌঁছে দেন। প্রার্থী হওয়ার পর কাঁধে দলীয় পতাকা নিয়ে স্বামীর সাইকেলে চেপে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছেন খড়গপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পিঙ্কি পাত্র। প্রচারে তেমন জাঁকজমক নেই। তবে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দলের দীর্ঘদিনের অনুগত সৈনিক। প্রথমবার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ মিলেছে। 


খড়গপুরের ৩৫টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ ২৭ ফেব্রুয়ারি। জনমানসে ছাপ ফেলতে পারলেন ছাপোষা মহুয়া-পিঙ্কিরা? উত্তর মিলবে ২ মার্চ।