সনৎ ঝা, দার্জিলিং: পঞ্চায়েতের (Panchayat) খোলস ছেড়ে পুরসভার দাবি উঠল শিলিগুড়ি (Siliguri) লাগোয়া মাটিগাড়া, বাগডোগরায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নগরায়ন বেড়ে চললেও ন্যূনতম পরিষেবাটুকু (Facility) মিলছে না। মহকুমা পরিষদের ভোটে এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি (Political Parties)।


পঞ্চায়েত ভোটে পুরসভা-দাবি 


হাত বাড়ালেই শিলিগুড়ি। এখান দিয়ে চলে গেছে এশিয়ান হাইওয়ে। এখানেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, গড়ে উঠছে উপনগরী। নগরায়ন বেড়ে চললেও, এখনও পঞ্চায়েত স্তরেই আছে মাটিগাড়া-বাগডোগরার একাংশ। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অধীনস্থ এই এলাকায় রবিবার ভোট। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকায় পরিষেবা ঠিকমতো মেলে না। এই পরিস্থিতিতে মাটিগাড়া-বাগডোগরার একাংশ নিয়ে পুরসভা তৈরির দাবি উঠেছে।


মাটিগাড়ার বাসিন্দাদের কথায়, 'বর্ষা এলে ঘরে জল ঢুকে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত কোনও কাজ করে না, শুধু ভোটের সময় আসে। চাইছি বদল হোক। পুরসভা করা হোক নাহলে শিলিগুড়িতে মিশিয়ে দেওয়া হোক।'


বাকি জেলাগুলিতে জেলা পরিষদ থাকলেও, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ রাজ্যের একমাত্র মহকুমা পরিষদ। মাটিগাড়া, বাগডোগরা, আঠারোখাই এলাকায় তিনটি পঞ্চায়েত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অধীনে। ভোটার প্রায় ২ লক্ষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মহকুমা পরিষদের ভোটের প্রচারে মাটিগাড়া, বাগডোগরাকে নিয়ে সব দলের মুখেই পুরসভা তৈরির দাবি। 


শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সিপিএম প্রার্থী অসিত নন্দীর কথায়, 'বাগডোগরা, মাটিগাড়া পুরসভায় অন্তর্ভুক্তির অংশ আগেই আমরা করেছিলাম। এখন পরিস্থিতি আরও বদলে গেছে। পুরসভা করার দাবি করছি।'


শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, 'আমরা পুরমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছি। পুরসভা হওয়ার যাবতীয় শর্ত এই এলাকা অনেক আগে পূরণ হয়েছে। ভবিষ্যতে লড়াই করে যাব।' 


আরও পড়ুন: Kolkata: মেট্রোর কাজে ফের ধস! বাইপাসে ব্যাপক যানজটে নিত্যযাত্রীরা


শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, 'এত বড় অঞ্চল, নগরায়ন ঘটেছে। জনসংখ্যা অনেক বেশি। পুরসভায় সঙ্গে যুক্ত করার বা আলাদা পুরসভা করার দরকার। জিতলে আমরা পুরসভা করার চেষ্টা করব।'


১৯৯০ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বামেদের দখলে। এবার লড়াই হতে চলেছে চর্তুমুখী। সব দলই চাইছে পঞ্চায়েত থেকে পুরসভায় উন্নীত হোক।