কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, মুন্না আগরওয়াল, কলকাতা : বৃহস্পতিবার পুর দুর্নীতি মামলায় কাকভোর থেকে শুরু নানা প্রান্তে ১৪ জায়গায় হানা দেয় ED। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মতো, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেও ( Recruitment Scam ) বহু টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য তৈরি করা হয়েছিল রেটচার্টও। ED সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দরে বিভিন্ন পুরসভায় দেদার চাকরি বিক্রি হয়েছে!
টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ !
তার মধ্যে যেমন পুরসভায় শ্রমিক, গাড়ির চালক, সাফাইকর্মী, পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ছিল ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা! গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা! পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ টাকা থেকে! তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই রেট কার্ডের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল খোদ নরেন্দ্র মোদির গলায়।
প্রধানমন্ত্রী ‘ক্যাশ ফর জব’ নিয়ে কী বলেছিলেন
১৩ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, 'সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ এর ঘটনা ঘটেছে। যুবসমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মতো সরকারি চাকরির সব পদে ‘রেট কার্ড’ রয়েছে সেখানে। সেই রাজ্যে চাপরাশি, ড্রাইভার, শিক্ষক, নার্স— সব পদে চাকরির জন্য বাঁধা দর রয়েছে।'
কী বলল বাম শিবির ?
কিন্তু, সিপিএমের পাল্টা প্রশ্ন, যদি প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি সম্পর্কে সবই জানেন, তাহলে ব্য়বস্থা নেন না কেন? সুজন চক্রবর্তী বলেন, ' প্রধানমন্ত্রী খুবই জ্ঞানী লোক, উনি সবই জানেন, কিন্তু কিছুই বোঝেন না। ওনার বলার দরকারটা কী এখন, ওনার তো করার কথা! প্রধানমন্ত্রী জানেন বলে না বলে, ওনার বলা উচিত ছিল, আমি জানি, কিন্তু আমি কিছু করিনি, আমি প্রশ্রয় দিয়েছি, আমি ওদের বাঁচাতে চাই।'
সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি চিরদিন অবহেলিতই থেকে যাবেন যোগ্যরা? যাদের চাকরি চুরি গেছে,
যে যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা কি আদৌ কোনওদিন সুবিচার পাবেন?
আরও পড়ুন :বাঁধভাঙা বৃষ্টি-ধসের মাঝে বন্দি! সিকিমে দুঃসহ অভিজ্ঞতা পর্যটকদের